খুতুবাতে আব্‌রার

৳ 500.00

লেখক মহিউস্‌সুন্নাহ মাওলানা শাহ্ আব্‌রারুল হক (রহ.)
প্রকাশক দারুল উলূম লাইব্রেরী
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৪০৬
সংস্কার 1st Published, 2014
দেশ বাংলাদেশ

আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। صلى على رسوله الگري. أما بعد : قال النبي صلى الله عليه وسلم : إنما الأعمالو البنات ইমাম আব্দুল ওয়াহাব শা’রানী ছিলেন হিজরী দশম শতাব্দীর প্র ইমাম । তিনি ছিলেন অত্যন্ত বড়মাপের আলেম। তিনি বলেন, মাশায়েখ আমাদের কাছে একটি প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন । সে কথাই শােনাচ্ছি, আর তাআলা তাওফীক ও হিম্মত দান করুন । আপনারা এমনিতেই বসে আছে। আপনাদের এখন নামাযও পড়তে হবে, সময় হয়ে এসেছে; খানাও খেতে হয়ে সময়ও তেমন নেই । সফরের ক্লান্তিও রয়েছে । হযরত বলেন, মূল জিনিস হলে ইখলাস । ইখলাসের অর্থ হলাে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা। এ হলো সত্যিকার ইখলাস । পক্ষান্তরে কেউ মনে মনে বলল যে, আজ নামাযে লম্বা রুক করতে হবে যাতে সে আমার ভক্ত হয়ে যায় । নামায ঠিক আছে । কিন্তু কী হবে, সে আমার ভক্ত হয়ে যাবে । আমাকে কিছু নজরানা দেবে । কিংবা লােকে নজরানা দিক বা না দিক আমার নামাযেই সেরা। এটা কী? হ্যা, এটা দুনিয়া । আল্লাহর জন্য কাজ করা নয় । এরূপ নামায কবুল হয় না। এ নামায মুখের ওপর নিক্ষেপ করে দেয়া হয়। এটা একটা কিছু বটে, তবে খেয়ালটা আমলে। পরিণত না হলে তাকে আরবী ভাষায় ‘খাতের’ বা মনে কোনাে কিছু ভেসে উঠা বলা হয় । কেউ যদি খেয়াল মােতাবিক আমল না করে তাহলে সে অপরাধী বলে। গণ্য হবে না। যেমন: নামাযে টাকা-পয়সার খেয়াল এলাে কিন্তু সে তাকে পাত্তা দিল না ।। আমিতাে বলি যে, মানুষ কোনাে দ্বীনী কাজ করলে তিন কারণেই করে। থাকে। যেমন: তারাবীহ নামায নিয়ে একজন হাফেজ সাহেবের খেয়াল জানতে চাইলে বলতে লাগলেন, কয় খতম তারাবিহ পড়বেন? বলা হয় এক খতম । বললেন, হাদিয়া কত? জানা গেল তিন হাজার । কবে খতম করবেন? ২৭ তারিখে । আর যদি ২০ তারিখে খতম করান তাহলে দু’হাজার । তারাবীহ নামায নিয়ে যদি কোনাে হাফেজ এমন দর-দাম করেন তাহলে এমন লােকের কোনাে

বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ