“নিশি মিয়া আধোচক্র” বইটির ‘প্রাককথন’ অংশ থেকে নেয়াঃ
‘প্রেতসাধক নিশি মিয়া’ বইটির শুরু হয়েছিল নিশি মিয়ার গল্প দিয়ে। নিশি মিয়া প্রেতসাধনা করে। দিকে দিকে নাম ছড়িয়ে পড়া এই প্রেতসাধক তার সাধনায় বাধাগ্রস্ত হয়ে প্রতিশােধ নেয়। এক অপদেবতার বিরুদ্ধে সে যুদ্ধে নেমে যায়। তার নাম খারু। কিন্তু খারুর শক্তিশালী রূপের কাছে সে অসহায়ের মতাে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। অপদেবতা খারু তাকে শাস্তি দেয়। ছেড়ে দেয় না নিশির আরাধ্য অপদেবী নেতাও। নেতা দেবীর কদর্য রূপ দেখতে পেয়ে নিশি মিয়া ঘুরে দাঁড়াল সব প্রেতশক্তির বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধে নিশি একা। সাথে কেউ নেই। নেই নিশির সাথে থাকা প্রেতশক্তিগুলােও। এমন সময় সে টের পেল সে শুধু একা নয়, তার সাথে আছে আরাে অনেক নিশি মিয়া। তাদের জন্ম হয়েছিল। একসময় তাদের সকলকেই হত্যা করে নেতা দেবী। নিজের ভােগে উৎসর্গ করে। তারপর ছুড়ে ফেলে দেয় আঁস্তাকুড়ে। সেই লাশস্তুপ নিশি মিয়া খুঁজে পায় হাজারাে বছর পরে। আগুন ধরিয়ে দেয় লাশগুলােতে। পুড়ে ছারখার হয় শত শত মানুষের দেহ। নিশি মিয়াকে তাড়া করে ফেরে প্রতিশােধের তুমুল নেশা। কিন্তু অসহায় নিশি মিয়া। কী করবে সে? একাই এগিয়ে যেতে শুরু করল। এরপর থেকে ‘আধােচক্র’ বইয়ের গল্প। শুরু হলাে নিশি মিয়ার যাত্রা। এ যাত্রার শেষ কোথায় কেউ জানে না।