শিক্ষার ইসলামায়ন ছাড়া উম্মাহর আধ্যাত্মিক মুক্তি ও বস্তুগত উন্নয়ন সম্ভব নয়। বস্তুবাদী শিক্ষা ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় ত্র“টি হচ্ছে, এটা কোন আধ্যাত্মিক ও নৈতিক বিষয়কে প্রাধান্য দেয় না। পশ্চিমা বিশ্ব শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে বাকী বিশ্ব থেকে অনেক বেশী প্রাগ্রসর। বিষয়টি অস্বীকার করার উপায় নেই।
মুসলিম বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থা পশ্চিমা বিশ্বের শিক্ষার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে শত বছরেও উম্মাহর বিশাল জনগোষ্ঠীর কোন উন্নতি হবে না। আর সেজন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য পাশ্চাত্য বিশ্বের উপর আমাদের আপাততঃ নির্ভর করতে হবে।
উম্মাহর অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যেমন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন প্রয়োজন, তেমনি নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নের জন্য এ শিক্ষার ইসলামায়ন ছাড়া গত্যন্তর নেই। উম্মাহর শিক্ষা ব্যবস্থায় এটি আজ অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু কিভাবে এটা সম্ভব?
মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রেক্ষাপটে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ড. আবদুলহামিদ আহমদ আবুসোলায়মান এর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস-চ্যান্সেলর। মুসলিম উম্মাহর বিশিষ্ট ইসলামী পণ্ডিতবর্গ এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অসাধারণ অবদান রাখেন।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স (ওআইসি) এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থ্যট (আইআইআইটি) বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠা, এর কারিকুলাম প্রণয়ন এবং ইসলামীকরণে বিরাট ভূমিকা রাখে। বিশ্ববিদ্যালয়টির কোর্স কারিকুলাম উন্নত বিশ্বের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স কারিকুলামের চেয়ে উন্নতমানের। এর কারিকুলাম যেমন উন্নত, তেমনি এর ইসলামায়নও করা হয়েছে যথাযথভাবে।
ড. আব্দুলহামিদ আহমদ আবুসুলাইমানের ‘Islamization of knowledge’ শীর্ষক বইটি মুসলিম বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স কারিকুলাম প্রণয়ন এবং ইসলামি শিক্ষা ও গবেষণাকে উন্নত করার ক্ষেত্রে ইসলামী বিশেষজ্ঞদের জন্য একটি পথনির্দেশক ও প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।