“শেষ স্পর্শ” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
ভবঘুরে জামাল। দরিদ্র হলেও বেশ সৌখিন। মাথায় সাহেবি টুপি, কালাে শার্টের সাথে লাল টকটকে প্যান্ট পরে থাকে। হাতে রুপার ঘড়ি। পকেটও খালি থাকে না। আরজুর বয়স বিশ কি একুশ হবে। না হলুদ লাল তেমনি রঙ্গের শাড়িতে যাচ্ছিল। যেন একটা অচিন পাখি পাখা মেলে এখানে সেখানে ছুটছে। সে রূপ জামালকে অভিভূত করল। আরেক ভবঘুরে ছেলে মিলন বলতে গেলে জামালের চেলা। মিলন অবাক হয়ে শুধু জামালের কাণ্ড দেখে। লাইলী এদিকে বড় হয়েছে। তার সারা দেহে কানায় কানায় যৌবন ভরে রয়েছে। যেন ফুটন্ত গােলাপ। আরেক আমুদে মানুষ ফারুক সাহেব। সব ব্যবসা বাণিজ্য ফেলে লাইলীর পিছনে ঘুরছে। লাইলীর পেটে সন্তান এলে তার দায়িত্ব কে নিবে? এদিকে সেলিমের বয়স যখন চৌদ্দ বছর তখন এক ভয়ংকর জোছনা রাতে মাতাল হয়ে বাড়ি ফিরে। ধীরে ধীরে ভয়ংকর খুনি হয়ে উঠে। শহর, গ্রাম, সব কিছুই তার। জন্য বিপদ। সে এক গভীর জঙ্গলে কাঠুরের বাসায়, এক বুক বিশ্বাস নিয়ে কড়া নাড়লাে। পিনক কুইন এর লর্ড ফ্রান্সের সবচেয়ে ধনী পরিবার মধ্যে একটি। খুব শান্ত স্বভাবের মানুষ। আজ শান্ত থাকতে পারছে না। মধ্য রাতে তারেক ব্রাউন ফোন করে তাকে বলেছেন, জাহাজের ঘটনাটি তার প্লানিং কিনা। জাহাজটাতে প্রফেসর কে হ্যানসন আছেন। নভেল প্রাইজ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান। একুশ বছরের কন্যা ইলেন। সে এক অনিন্দ সুন্দরী যেন স্বর্গের সুষমা। ইলেন হটাত সেলিমের সামনে নিলাভ রঙের একটি বারােক মুক্তো ছুড়ে দিলাে…।