“স্পেকুলেটিভ ফিকশন” – বাংলা সাহিত্যে এই ঘরানার লেখা সম্ভবত এই প্রথম। সাইন্স ফিকশনের অন্যতম অভিজাত ঘরানা “স্পেকুলেটিভ ফিকশন”, যেখানে বর্তমানের সত্যিকারের তত্ত্ব বা আবিস্কারের উপর ভিত্তি করেই এমন কিছু “ভবিষ্যতিক” চিত্র আঁকা হয় যা বাস্তব হয়ে উঠার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।
হাসান তারেক চৌধুরীর প্যারাসাইকোলজি ঘরানার “স্পেকুলেটিভ ফিকশন” এর মধ্য দিয়ে পাঠকদের সামনে এলেন “ডঃ মাহমুদা হোসেন”, একজন নিবেদিত প্রাণ নিউরো-সাইন্টিস্ট। দারুন মেধাবী, বাক্তিত্বপূর্ণ এই নারী বিজ্ঞানী গবেষণার সাথে সাথে মানব মস্তিস্কের অতিপ্রাকৃত সব রহস্য ভেদ করে থাকেন। তাঁর রোমাঞ্চকর যাত্রার প্রতি পদে সামনে এসে পড়ে অদ্ভুতুড়ে সব রহস্য, প্রতি বাঁকে ঘটনা ঘুরে যায় ভিন্ন পথে, তীক্ষ্ণ ধী-শক্তি ব্যবহার করে ডঃ মাহমুদা উন্মোচন করেন কল্পনারও অতীত সব রহস্য।
ডঃ মাহমুদার রহস্যময় তিনটি অভিযান নিয়ে এই গল্প সংকলন, সিট বেল্ট বেঁধে আপনিও যোগ দিতে পারেন এই রহস্য অভিযানে।
দ্রুত হারিয়ে ফেলা স্মৃতিশক্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ডাঃ মাহমুদার নতুন আবিস্কৃত একটি ড্রাগ ব্যবহার করে আবীর। কিন্তু নির্দেশ উপেক্ষা করে তা সে প্রয়োগ করে মাত্রাতিরিক্ত ডোজে। অদ্ভুত সব ঘটনা এলোমেলো করে দিতে থাকে আবীরের সময়ের ধারণাকে। তারপর …? জানতে ঘুরে আসি “আবর্তন” গল্পটি।
দুর্গম এক পাহাড়ি এলাকায় বেড়াতে যায় সাহের আর শিখা। সেখানে দুর্ঘটনায় পাহাড় থেকে গহীন খাদে পরে যায় শিখা। স্ত্রীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ঐ এলাকায় বাংলো করে থাকতে শুরু করে সাহের। কিন্তু, একদিন দরজা খুলে হতভম্ভ হয়ে যায় সাহের, ঘটতে থাকে ব্যাখ্যাতীত সব ঘটনা। রহস্য ভেদে চলুন ঘুরে আসি “ইনফার্নো” গল্পটি।
বর্ষার এক রোম্যান্টিক সকালে স্ত্রী নীলাকে ভালবেসে কাছে টেনে নেয় দীপন। একহাতে নীলার মাথাটা টেনে ধরে যখন আদর করতে যাবে দীপন, হঠাৎ তার অন্য হাতটা ভয়ঙ্কর ভাবে চেপে ধরে নীলার গলা। তবে কি দীপন নীলাকে হত্যা করতে চায়! এরই মাঝে ঘটতে শুরু করে নানা ব্যাখ্যাতীত ঘটনা। এদিকে নীলা কিছুতেই বিশ্বাস করে না যে দীপন তাকে হত্যা করার চিন্তা করতে পারে। তবে…! ঘটনার গভীরে ঢুকতে যেতে হবে “দ্বিখণ্ডিত” গল্পটিতে।