দি টাইম মেশিন

৳ 300.00

লেখক এইচ. জি. ওয়েলস
প্রকাশক মাতৃভাষা প্রকাশ
আইএসবিএন
(ISBN)
9847027000383
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১১০
সংস্কার 1st Published, 2018
দেশ বাংলাদেশ

দরজার দিকে ঘুরে তাকালাে সবাই। সেখানে দাড়িয়ে আছে টাইম ট্রাভেলার। তার অবস্থা ভয়াবহ। গায়ের কোটটি অত্যন্ত ময়লাযুক্ত। হাতার নিচের দিকে সবুজ আঠালাে দাগ। ফিলবির কাছে মনে হলাে তার চুলগুলাে আরাে বেশি বাদামি হয়ে গেছে। কিন্তু এটা কি চুলের রং পরিবর্তন না কি ধূলা-ময়লার প্রভাব, তা ঠিক বুঝতে পারছে না। টাইম ট্রাভেলারের মুখমণ্ডল ফ্যাকাশে হয়ে গেছে, ভূতের মতাে অনেকটা। তার চিবুকে গভীর কাটা দাগ এখনাে পুরােপুরি সারেনি। সবকিছু মিলে তার এক জরাজীর্ণ অবস্থা যেন ভয়াবহ কোনাে দুর্দশা কাটিয়ে এসেছে। দরজায় দাঁড়িয়ে সে কয়েক মুহূর্তের জন্য ইতস্তত করলাে। সম্ভবত রুমের আলােয় তার চোখ ধাধিয়ে গেছে। তারপর আস্তে আস্তে খুব কষ্টে রুমে প্রবেশ করেই বসে পড়লাে।

পুরো নাম হারবার্ট জর্জ ওয়েলস। বৃটিশ। জন্ম ১৮৬৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। কমার্শিয়াল এ্যাকাডেমিতে লেখাপড়া করেন ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত। সার্টিফিকেট নেন বুক-কিপিং অর্থাৎ পদ্ধতিমাফিক হিসাব রাখার বিদ্যায়। ১৮৮০তে শিক্ষানবিসি করেন উইন্ডসরের এক বস্ত্ৰ-ব্যবসায়ীর কাছে। ঐ বছরেই ছাত্র-শিক্ষক ছিলেন সমারসেটের একটি স্কুলে। ১৮৮০-৮১তে শিক্ষানবিস কেমিস্ট ছিলেন সাসেক্সে। ১৮৮১-৮৩ তে শিক্ষানবিস বস্ত্ৰ-ব্যবসায়ী ছিলেন হ্যাম্পশায়ারের হাইড্রস এম্পেরিয়ামে। ১৮৮৩-৮৪তে ছাত্র-সহকারী ছিলেন মিডহাস্টগ্রামার স্কুলে। ১৮৮৪-৮৭তে পড়াশুনা করেন লন্ডনের রয়াল কলেজ অফ সায়ানেস-কিন্তু উত্তীর্ণ হতে পারেন নি পরীক্ষায়। শিক্ষকতা করেন ১৮৮৭-৮৮ সালে রেক্সহ্যামের হােল্ট এ্যাকাডেমিতে এবং ১৮৮৮-৮৯ সালে লন্ডনের হেনলি হাউস স্কুলে। ১৮৯০তে বি. এসসি ডিগ্রি পান ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে। দুই বিয়ে। প্রথম বিবাহ হয়। চাচাতো বোন ইসাবেল মেরি ওয়েলসের সঙ্গে ১৮৯১ সালে—বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে ১৮৯৫-তে। ঐ বছরেই দ্বিতীয় বিবাহ হয় এ্যামি ক্যাথরিন রবিন্সের সঙ্গে। দ্বিতীয় স্ত্রী মারা যান ১৯২৭ সালে। দুই পুত্র। লেখক এ্যান্টনি ওয়েস্টও তাঁর পুত্ৰ-মা ছিলেন লেখিকা রেবেকা ওয়েস্ট। ১৮৯১-৯২তে শিক্ষকতা করেন লন্ডনের ইউনিভার্সিটি টিউটােরিয়াল কলেজে। পুরো সময়ের লেখক হন। ১৮৯৩ সাল থেকে। ১৯২২ এবং ১৯২৩-এ ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের পক্ষে পার্লামেন্টের লেবার নির্বাচনপ্রার্থী হন। ১৯০৩ থেকে ১৯০৮ পর্যন্ত ছিলেন ফেবিয়ান সোসাইটির সদস্য। ১৯৩৬-এ ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে পান ডক্টরেট অফ লিটারেচার সম্পমান। লন্ডনের ইম্পিরিয়েল কলেজ অফ সায়েন্স এ্যান্ড টেকনলজির সম্পমানজনক সদস্যপদে থাকার পর দেহাবসান ঘটে ১৯৪৬ সালের ১৩ আগস্ট।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ