ইয়া আবি! জাওয়্যিজনি

৳ 120.00

লেখক শাইখ আব্দুল মালিক আল কাসিম
প্রকাশক রুহামা পাবলিকেশন
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৯২
সংস্কার 1st Published, 2018
দেশ বাংলাদেশ

“ইয়া আবি! জাওয়্যিজনি” বইয়ের পিছনের কভারের কথা:
আব্বু!
কিছু কথা বলব বলে বেশ কয়েক বারই আপনার কামরা পর্যন্ত গিয়েছিলাম। কিন্তু বলতে পারিনি! কেন বলতে পারিনি? বলতে না পারার যথেষ্ট কারণ এ সমাজে বিদ্যমান! আব্বু, আপনার এ সন্তান গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে চায়। পবিত্র জীবনযাপন করে দুনিয়া-আখিরাত উভয় জাহানে কল্যাণ লাভ করতে চায়। সে ফিতনার অন্ধকারে হারিয়ে যেতে চায় না। সে ভুলে যেতে চায় না নিজের মুসলিম পরিচয়। আব্বু, আপনার সন্তানের হৃদয়ের আকুতিটুকু জানতে একটি বার হলেও এ বইটির প্রতিটি বাক্যের ওপর নজর বুলাবেন। আশা করি, আপনার সন্তানের প্রকৃত সফলতার কথা ভেবে তার নেক আগ্রহে সম্মতি প্রকাশ করবেন।
ইতি, আপনার আদরের সন্তান…

“ইয়া আবি! জাওয়্যিজনি” বইয়ের প্রকাশকের কথা:
কোনাে সন্তান পড়ালেখায় অমনােযােগী হলে মা-বাবা খুব পেরেশান হন। বেকার ছেলেটির কখন চাকরির ব্যবস্থা হবে, এ নিয়ে তারা বড় উদ্বিগ্ন থাকেন। কর্মজীবী সন্তানটি কখনাে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এ নিয়েও অনেক আফসােস করেন। সন্তানের শারীরিক অসুস্থতাও তাদের চিন্তিত হওয়ার কারণ। কিন্তু কোনাে মা-বাবা কি এ ভেবে কখনাে চিন্তিত হন যে, আমার সন্তান তাে গুনাহে জড়িয়ে পড়েছে, তাকে গুনাহ থেকে বাঁচানাে আবশ্যক; চারদিকে ফিতনার জাল পাতানাে, তাকে এ ফিতনা থেকে নিরাপদ রাখা দরকার!? বস্তুত, মা-বাবারা সন্তানের পড়ালেখা কিংবা আর্থিক উন্নতি-অবনতির হিসেবটাই বেশি করেন; তাদের চারিত্রিক অবস্থার প্রতি মােটেও খেয়াল করেন না। অথচ, সন্তানের পড়ালেখা, আয়-রােজগার— এসবে কমতি হলে পরকালে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত হবার ভয় নেই। কিন্তু যদি তাদের চারিত্রিক অবনতি ঘটে, তারা গুনাহে জড়িয়ে পড়ে, বেদীনদের মতাে জীবনযাপন করে—তবে তাে পরকালে তাদের কঠিন আজাব ভােগ করতে হবে। হে সন্তানের অভিভাবকগণ, একটু ভেবে দেখুন! বইটি পড়ে দেখুন, সন্তানের ব্যাপারে আপনার আরও কিছু করণীয় আছে।

“ইয়া আবি! জাওয়্যিজনি” বইয়ের সূচিপত্র:
শুরুর কথা…..১১ কেস স্টাডি…..১৩ সচ্চরিত্রা নারী…..১৭ বিবাহের গুরুত্ব ও মর্যাদা…..১৯ বিবাহের উপকারিতা…..১৯ পাপের অংশীদার…..২৪ পরামর্শ…..২৬ বিয়ের ব্যাপারে উদার হােন…..২৮ আপনিই জিম্মাদার…..২৯ পিতার প্রতি সন্তানের হৃদয়ের আকুতি!…..৩১ কতিপয় বাস্তব অভিজ্ঞতা…..৩১ বিবাহ দেরিতে করার কারণসমূহ…..৩২ সমাধানের প্রস্তাবনা…..৩৫

ড. শাইখ আব্দুল মালিক আল-কাসিম। আরববিশ্বের খ্যাতনামা লেখক, গবেষক ও দায়ি। জন্মগ্রহণ করেছেন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের উত্তরে অবস্থিত ‘বীর’ নগরীতে বিখ্যাত আসিম বংশের কাসিম গােত্রে। তার দাদা শাইখ আব্দুর রহমান বিন মুহাম্মাদ। বিন কাসিম আল-আসিমি আন-নাজদি রহ. ছিলেন হাম্বলি মাজহাবের প্রখ্যাত ফকিহ। তাঁর পিতা শাইখ মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান রহ.ও ছিলেন আরবের । যশস্বী আলিম ও বহু গ্রন্থপ্রণেতা। শাইখ আব্দুল মালিক। আল-কাসিম জন্ম সূত্রেই পেয়েছিলেন প্রখর মেধা, তীক্ষ্ণ প্রতিভা আর ইলম অর্জনের অদম্য স্পৃহা। পরিবারের ইলমি পরিবেশে নিখুঁত তত্ত্বাবধানে বেড়ে । উঠেছেন খ্যাতনামা এই লেখক। আনুষ্ঠানিক পড়াশােনা শেষ করে আত্মনিয়ােগ করেন লেখালেখিতে—গড়ে তােলেন ‘দারুল কাসিম লিন নাশরি ওয়াত তাওজি’ নামের এক প্রকাশনা সংস্থা। প্রচারবিমুখ এই শাইখ একে একে উম্মাহকে উপহার দেন সত্তরটিরও অধিক। অমূল্য গ্রন্থ। আত্মশুদ্ধিবিষয়ক বাইশটি মূল্যবান। বইয়ের সম্মিলনে পাঁচ ভলিউমে প্রকাশিত তাঁর ‘আইনা নাহনু মিন হা-উলায়ি' নামের সিরিজটি পড়ে উপকৃত | হয়েছে লাখাে মানুষ। বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এই সিরিজের অনেকগুলাে বই। আজ-জামানুল। কাদিম’ নামে তিন খণ্ডে প্রকাশিত তার বিখ্যাত। গল্প-সংকলনটিও আরববিশ্বে বেশ জনপ্রিয়। সাধারণ মানুষের জন্য তিনি প্রাঞ্জল ভাষায় ছয় খণ্ডে রচনা। করেছেন রিয়াজুস সালিহিনের চমৎকার একটি ব্যাখ্যাগ্রন্থ। এ ছাড়াও তাঁর কুরআন শরিফের শেষ। দশ পারার তাফসিরটিও বেশ সমাদৃত হয়েছে। আমরা আল্লাহর দরবারে শাইখের দীর্ঘ কর্মময় জীবন কামনা করি।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ