কল্পকাহিনি লেখার ক্ষেত্রে দীপেন ভট্টাচার্য যে পথে এগিয়েছেন তা অভিনব ও মৌলিক। তার বিভিন্ন গল্প-উপন্যাসে পদার্থ বিজ্ঞানের কোয়ান্টাম মেকানিক্স কিংবা সমান্তরাল মহাবিশ্বের মতাে আধুনিক পদার্থবিদ্যার তত্ত্ব-নির্ভর ধারণাগুলাে তিনি সফলভাবে যুক্ত করেন; কিন্তু বিজ্ঞানের ওই ধারণাগুলাে তার গল্পের ভরকেন্দ্র থাকে না, মূল আগ্রহের জায়গা হিসেবে পাঠক একটা নিটোল প্লট উপহার পান যেখানে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব-ধারণাগুলাে ভিত্তি হিসেবে কাজ করে; এবং তাঁর উপন্যাস শেষ পর্যন্ত একটা কাহিনি থাকে না, পাঠকের কাছে সরবরাহ করে মানুষ, মানুষের সভ্যতা, তার সমাজ, ইতিহাস ও আগামী ভবিষ্যৎ বিষয়ক কিছু সুচিন্তিত ভাবনা। দীপেন ভট্টাচার্য বিজ্ঞান-কল্পকাহিনি লেখাকে সহজভাবে নেননি; তার অভিজিৎ নক্ষত্রের আলাের পাঠ যে কোনাে বুদ্ধিদীপ্ত পাঠককে এ বার্তা পৌঁছে দেবে।