“কফিশপ” বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
‘আহ, সিরিয়াসলি নিচ্ছ কেন? আমি তাে এমনিতেই বললাম। আচ্ছা থাক বাদ দাও। তুমি বরং আমার চোখের দিকে তাকাও দেখি তােমার চোখ কী বলে। আমার কথা নাকি অন্য কারও কথা।’ ‘আবার ঢং! চলে যাব কিন্তু।
রিক তার স্বভাবসুলভ তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে। ‘তােমার আগে আমিই উঠে চলে যাব।’
নুশেরা দীর্ঘশ্বাস গােপন করে। রিক যত অবহেলাই করুক ওর পক্ষে উঠে যাওয়া অসম্ভব। কেন নিজের ব্যক্তিত্বকে বারংবার দুমড়েমুচড়ে ভাঙতে দেয় ও রিককে?
ছােট কফিশপটিতে ওদের পাশের টেবিলে বসে ধূমায়িত কফির মগে চুমুক দিতে দিতে নীরব তার নেটবুকে লেখে আর মাঝে মাঝে তার ফ্রেমে আঁটা চশমার মােটা দৃষ্টি দিয়ে নুশেরা-রিকের গল্প পড়ার চেষ্টা করে। মেয়েটির গােপন করা দীর্ঘশ্বাসটি যেন সে স্পষ্ট শুনতে পায়। আচ্ছা পাশের টেবিলে উড়নচণ্ডী ছেলেটার সাথে বসে থাকা মেয়েটির চোখ দুটি কি খুব গভীর? কফির মগটার দিকে তাকিয়ে মনে মনে নুশেরার চোখ পড়ার চেষ্টা করে সে। হতাশ হয়ে ভাবে, জীবন কেন এত পক্ষপাতদুষ্ট?