শিল্পের চরম সৌকর্য বলতে যা বোঝায় তাতো আসলে মানুষের দেখা সত্য জীবনের বয়ান। সেই বয়ান কখনো হয় মেদহীন ও গতিমান। ‘সম্পর্কের সুতোয়’ ভাঙ্গাগড়া মানুষের জীবনের ভিন্ন ভিন্ন বাঁকবদলের কথা বলে। কথা বলে, মনের স্বাতন্ত্র্যবোধ ও মৌলিকতা নিয়ে। শান্তনুর বৃহৎ সামাজিক পরিবর্তনের প্রত্যাশা শেষ পর্যন্ত ব্যক্তি ব্যর্থতায় ট্র্যাজিক হয়ে ওঠে কিনা তা দেখতে পাই প্রদোষকালে। যদিও উপন্যাসের আখ্যানের একরৈখিক ভাবনা চোখে পড়ার মতো তবুও বর্ণনায় অকপট স্বীকারোক্তি ঔপন্যাসিকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সত্য ও সুন্দরের ইউটোপিয়ায় বসবাস করা মানুষের মনে যে ক্ষ্যাপামো খেলা করে তার বালখিল্য আচরণ যখন অনেকের কাছে দুঃসহ মনেহয় তখন সেই মানুষের উত্থান-পতনের চোরা¯্রােতগুলো কীভাবে মানুষটিকে বিষাদগ্রস্ত করে তোলে তারই সরল আখ্যান এই উপন্যাস। জটিল পৃথিবীর জটিল জীবন নয় বরং ভাবনায় খুব কাছের পৃথিবীতেই ঘুরপাক খান ঔপন্যাসিক। যে পৃথিবীতে শান্তনু শেষ পর্যন্ত মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী শুভবোধ থেকে বিচ্যুত হয় না। মানুষ নিজেই এক অপরাজেয় শক্তি।