কথাসাহিত্যে একজন লেখক কীভাবে তার সময় ও পাঠককে ধারণ করেন? সংবেদনশীল হৃদয়, প্রখর জীবনবোধ, দারুণ দৃষ্টিপাত এবং ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের উর্ধ্বে উঠে স্বাধীন মানবিক মনোভঙ্গিই সম্ভবত লেখককে কাল থেকে কালোত্তীর্ণ করে তোলে। সমকালীন সময়ে ফারহানা হোসেন এমন একটি নতুন পথ ধরে অগ্রসর হয়েছেন যা বাংলা কথাসাহিত্যের পরিধিকে প্রসারিত করে এনেছে দুর্দান্ত শক্তিশালী বৈচিত্র্য। তিনি সহজ কথা সহজে বলেন, যাদু বা পরাবাস্তবতার ধার ধারেন না; গোঁজামিল তৈরি করেন না। উজ্জ্বল এই কথাশিল্পী তার নিজস্ব বর্ণনাশৈলীতে আস্থাশীল, অভিনব, স্বতন্ত্র এবং বলিষ্ঠ। শিল্পরীতি আর জীবনবোধের সমৃদ্ধ মাত্রার সংযোজন প্রতিনিয়ত তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে । “পুরুষনামা” উপন্যাস নিয়ে পর্যালোচনা করার দুঃসাহস করছি না- সে গুরুভার পাঠকের হাতেই থাক।। “সব্বে সত্তা সুখিতা ভবন্তু”।