ট্রলার প্রায় অনেকদূর চলে গেছে। ইতিমধ্যে আমাদের লঞ্চ চলা শুরু করেছে। হয়তাে যাবার আগে রবিউলের তাই হুকুম ছিলাে। আমি ঘড়ি দেখি কাটায় কাটায় রাত দশটা। আমরা তখনাে ছাদে। নিচে নামতে আর ভালো লাগছে না। রহমত মিয়া একটু পরপর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। রুস্তম হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে আছে। আমার খুব জানতে ইচ্ছা করছে, তার মাথায় এখন কোন কবিতা ঘুরছে কিনা! কালাে অন্ধকার চারদিকে। এক হিসেবে ভালােই হয়েছে। কেউ কারাে মুখ দেখতে পারছি না। হঠাৎই কান্নার শব্দ শুনতে পাই। আমার বা পাশে বসা ছেলেটা কাঁদছে। ঠিক বুঝে আসে না এ কান্না সুখের না দুঃখের !! সবকিছুর অর্থ থাকতে হবে তাওতাে না। আমি তখন আকাশ দেখি। এক আকাশ ভরা আঁধার দেখি। ছেলেটা না হয় কাঁদুক ছেলেটার মতাে করেই!