“অতিচল্লিশ ইন্দ্রিয়দোষ” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
‘অতিচল্লিশ ইন্দ্রিয়দোষ’ ব্যাকরণ থেকে বেরিয়ে নতুন কিছু নিয়ে ফিরে আসার কৌশল-নতুন টেক্সটকেই সামনে নিয়ে আসে। যেখানে শব্দরা তার যাত্রাপথকে বহুমাত্রিক করে তােলে, কবিতাও পেয়ে যায় দ্যোতক জন্দ্যোতিতের দম্পতিরূপ। ধরুন অরবিন্দ চক্রবর্তীর কবিতা প্রথমত কবিতা, দ্বিতীয়ত তা প্রতিকবিতা, তৃতীয়ত আবার তা কবিতা। তাঁর কবিতা বরফের মতাে তৃষ্ণা নিয়ে প্রতিনিয়ত রূপান্তরিত হতে চায়, জলে ও কঠিনে ।। সবাই যখন সৌন্দর্য নিয়ে চিৎকার করে কবি তখন গন্ধ আঁকেন, চিৎ-জুড়ে জন্ম দেন বহুব্রীহির ছায়া। কবিতা যেন ধাবমান বল, ক্রমশ লাল বিচ্যুতি নিয়ে যেতে যেতে ফেলে যায় ছাই। এই ছাইকে যারা রঙ বানাতে চায়, তাদের পাঁচ ইন্দ্রিয় পঞ্চমে বেজে ওঠে- জন্ম হয় এন্টিবয়ান। হতে পারে তার নাম অতিচল্লিশ ইন্দ্রিয়দোষ অথবা অন্যকিছু।