জামশেদপুরে সব কাহনেরই দুটো ভাষ্য থাকে। একটা ছড়ায় মুখে মুখে, আরেকটা বয়ে নিয়ে যায় চিমনির ধোয়া। দুপুরের দিকেই জামশেদপুরের বিভিন্ন চিমনি অতীব গুরুত্বপূর্ণ সব খুঁটিনাটি উগরে দিতে লাগল, আর মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া কাহনটার রঙের পর রং ছড়াতে লাগল। যে মেয়েরা রসুইঘরে খানা পাকায়। তারা এমন সব তথ্য জানে যা তাদের সবজান্তা স্বামীদেরও অজানা থাকে। ফিসফিস গুঞ্জন, আড়চোখের চাউনি, বক্রোক্তি, জল্পনা-কল্পনা, সেই সঙ্গে চরিত্রহনন আর অশ্রাব্য-কুশ্রাব্য কুটকাটব্য, আর কোনাে কোনাে রান্নাঘর থেকে এমনকি মারাত্মক সব রসিকতার চাটনিও মিশিয়ে দেয়া হলাে মাটির উনুনে। টগবট ফুটতে থাকা সব ডেকচিতে। এমনিতে সাধারণ ধোয়া হয় ধূসর, আজ তাদের রং হলাে বিদঘুটে অসুখে। ভােগা, সবুজ, কিংবা হয়তাে বাদল মেঘই দিনের। আলােকে আশ্চর্য সব রঙে প্রতিসরিত করে দিয়েছে।