হাজার হাজার বছর আগে দক্ষিণ মেক্সিকোতে ‘টলটেকরা’ পরিচিত ছিলেন ‘জ্ঞানের নারী-পুরুষ’ হিসেবে। নৃবিজ্ঞানীদের মতে, টলটেক ছিল একটি জাতি বা সম্প্রদায়। কিন্তু আসলে তারা ছিলেন বিজ্ঞানী ও শিল্পী, যারা আধ্যাত্মিক জ্ঞান অন্বেষণ ও সংরক্ষণের জন্য মেক্সিকো সিটির বাইরে প্রাচীন পিরামিডের শহর টেয়োটিওয়াকানে একটি সমাজ নির্মাণ করেছিলেন। জ্ঞানের গুঢ় বিষয়টি ন্যাগুয়ালদের ভিন্ন ভিন্ন বংশ পরম্পরায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে এসেছে। যদিও এটার গোপন সূত্র হাজার হাজার বছর ধরেই অনাবিষ্কৃত থেকে গেছে। প্রাচীন ভবিষ্যৎ বক্তারা অবশ্য ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, এমন একটা যুগ আসবে যখন এসব জ্ঞান আবার ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে।
এই বইয়ের লেখক ডন মিগুয়েল রুইজ ‘ঈগল নাইট’ বংশের একজন ন্যাগুয়াল। যিনি টলটেকদের এই শক্তিশালী আধ্যাত্মিক কৌশল আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। হাজারো মানুষের স্বপ্ন বহন করে চিড়ে-চ্যাপ্টা একেকটি মানুষকে তার নিজের পরিচয়ে সুখী হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বইটিতে। সমাজের নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তির মধ্য দিয়ে স্বর্গসুখের সন্ধান দেওয়া হয়েছে এতে।