হিফযুল কুরআন ছাত্রসহায়িকা

৳ 80.00

লেখক এইচ এম ফরীদুদ্দীন খন্দকার
প্রকাশক তাহফীযুল কুরআন পাবলিকেশন
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৯৬
সংস্কার 3rd Edition, 2019
দেশ বাংলাদেশ

“হিফযুল কুরআন ছাত্রসহায়িকা” বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ
সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের যিনি বলেছেন- “আমিই এই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং এর সংরক্ষণও করবাে আমিই।” প্রায় দেড়হাজার বছরের হাজারাে উত্থান পতনের পরও আল-কুরআনের প্রতিটি শব্দ ও অর্থ সম্পূর্ণ অক্ষত ও অবিকত অবস্থায় পথিবীর আনাচে-কানাচে বিদ্যমান থাকাটাই এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ। আল-কুরআনের শাব্দিক সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলাে হিফযুল কুরআন। কুরআন হিফ্য করার জন্যে ভালাে শিক্ষক ও হিফ্যখানা যেমন জরুরি, তেমনি পূর্ণাঙ্গ ও আদর্শ হাফেযে কুরআন তৈরির জন্যে এমন একটি নির্দেশিকা অবশ্যই জরুরি যাতে থাকবে হিযের যাবতীয় নিয়ম-কানুন ও জবাবদিহিমূলক বিধি-ব্যবস্থা। যুগচাহিদা ও সময়ের প্রেক্ষাপটে জাগতিক শিক্ষার হার উত্তরােত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষা ও শিক্ষাব্যবস্থার মানােন্নয়ন ক্রমশ ত্বরান্বিত হচ্ছে।
উপস্থাপনা ও বর্ণনাভঙ্গির সহজতর আধুনিকায়ন হচ্ছে। তবে আমরা কেনাে পিছিয়ে থাকবাে? দেশের প্রতিটি অঞ্চলে- শহরগ্রাম নির্বিশেষে সর্বত্র ছড়িয়ে আছে হাজার হাজার হিফ্যখানা । কাঠামােগত দুর্বলতা, অদক্ষতা ও নিয়মানুবর্তিতার অভাবে অধিকাংশ হিফযখানার শিক্ষাদান ও পড়াশােনার মান খুবই নিচু। যে কারণে এসব হিফযখানা থেকে বিশুদ্ধ তিলাওয়াতে অভ্যস্ত মানসম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ হাফেযে কুরআন খুব কমই তৈরি হয়। শিক্ষকদের যােগ্যতা-দক্ষতা ও আন্তরিকতার পাশাপাশি যথাযথ জবাবদিহিতার জন্যে হিফযখানার পূর্ণাঙ্গ নেছাব সম্বলিত মানসম্মত একটি গাইডবই সময়ের দাবি। এ উপলদ্ধি থেকেই ‘হিফযুল কুরআন ছাত্রসহায়িকা’ নামে হিফযবিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য গাইড বই তৈরি করার প্রয়াস পেয়েছি। বইটি সম্পূর্ণ এদেশের পরিবেশ-পরিস্থিতির আলােকে রচিত। এ গাইড বইয়ে হিফয শিক্ষার্থীর জন্য সঠিক সময়ে সঠিকভাবে একজন ভালাে মানের/আদর্শ হাফেযে কুরআন হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়ক কতগুলাে বিধিবদ্ধ নিয়ম-নীতি বা বিধিব্যবস্থা উল্লেখ করা হয়েছে। হিফযখানার শ্বাশত নিয়ম-কানুন হিসেবেই যেগুলাে প্রচলিত ও গ্রহণযােগ্য। (মরহুম হাফেজ্জী হুজুর রহ.-ই মূলত এসবের প্রবক্তা)। হিফযখানার পূর্ণাঙ্গ নেছাব অনুযায়ী তাজবীদ দোয়া-মাসায়িল ইত্যাদি সংযােজনের মাধ্যমে বইটিকে অধিকতর সমৃদ্ধ ও গ্রহণযােগ্য করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাজবীদ এবং দোয়া-মাসায়িল অধ্যায়ে সাধুভাষা ব্যবহার করা হয়েছে; যেন শিক্ষার্থীরা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সহজে ছন্দ-সুরের মতাে পড়তে পারে।

বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ