এই উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে মূলত দু’জোড়া নারী পুরুষকে ঘিরে। তাঁদের প্রেমময় সম্পর্ক,পরস্পর নির্ভরশীলতার কথা দিয়েই কাহিনী শুরু। যদিও পরবর্তী সময়ে আরও নানা চরিত্র এসে উপন্যাসে ভিড় করে।
মানবিক এই সম্পর্কগুলোর মাঝে রয়েছে নানা প্রচ্ছন্ন ও প্রকাশ্য টানাপোড়োন এবং বিশ্বাস-অবিশ্বাস। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার অপর পিঠেই যার অবস্থান। বৃদ্ধ বয়সে মানুষের একান্ত নির্ভরতার জায়গাটি যখন সরে যায়, একাকিত্ব যখন এক বিশাল পাথরখন্ড হয়ে মনের ওপর চেপে বসে, এতকালের কাছের মানুষগুলোকে দূরের বলে মনে হতে থাকে, চেনা মুখগুলোও কেমন যেন অস্পষ্ট ও রহস্যময় হয়ে ওঠে, জীবনের সেই অসহায় পর্বটিকেও লেখক অত্যন্ত দরদ দিয়ে ‘কাছের মানুষ দূরের মানুষ’ উপন্যাসে তুলে ধরেছেন।
বলা যায় পুরো উপন্যাসটি জুড়েই লেখকের এই সংবেদনশীল মন ও গভীর পর্যবেক্ষণশক্তির পরিচয় বিধৃত রয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর সুনিপুণ বর্ণনা ও ভাষার যাদু পাঠককে শেষ পৃষ্ঠা অবধি টেনে নিয়ে যাবে।
একজন সুকন্ঠী বাচিক শিল্পী হিসেবে পিওনা আফরোজের এতদিনের পরিচয় ছাপিয়ে এই প্রথম উপন্যাসেই তিনি একজন কথাশিল্পী হিসেবে তাঁর বলিষ্ঠ আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করলেন।