বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা
ভােরবেলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশ দেখেছে কুয়াশা। মায়ের সাথে নামাজ পড়েছে। মা নামাজ শেষে ঘুমাতে চলে গেছেন । কুয়াশা আর যায়নি। চা বানিয়ে নিয়ে বারান্দায় এসে বসেছিল কিছুক্ষণ। তারপর ছবি আঁকার ঘরে গিয়ে ছবি আঁকতে বসেছে। দশটা পর্যন্ত ছবি আঁকবে। এরপর ভার্সিটির বাসে করে ক্যাম্পাসে যাবে। বাবা নামিয়ে দিতে চেয়েছিল। ও না করলো। সমাজকল্যাণ বিভাগের কাজগুলাে বেশ মনােযােগ দিয়েই করে কুয়াশা। ছবি আঁকে শখে। মাস্টার্সে থিসিস গ্রুপে কাজ করছে ও। ওর থিসিস সুপারভাইজার কেয়া ম্যাডামের সাথে আজকে মিটিং আছে। ভার্সিটির লাল বাস এসে স্টপেজে দাঁড়ালাে। কুয়াশা উঠে পড়লাে। এই সময়টাতে বাসে দাড়িয়ে যাওয়া লাগে। কিন্তু আজকে বসার সীট পেল ও। পাশের সীটে অসম্ভব সুন্দরী একটা মেয়ে বসেছে। পেছনের ছেলেরা মেয়েটার দিকে বারবার তাকাচ্ছিলাে। ওর দিকেও কিছু ছেলে তাকাচ্ছিলাে। এই বিষয়গুলাে ও খুব খেয়াল করে। থিসিসের বিষয়বস্তুর সাথে এগুলাে সম্পর্কযুক্ত। ওর থিসিসের বিষয়বস্তু হচ্ছে ‘শান্তি স্থাপনে নারী পুরুষ সম্পর্ক।