“ভারত ভাগে বাংলার বিয়োগান্তক ইতিহা ” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
দেশে-বিদেশে ভারতের খন্ডিত রূপ এবং বাংলা ভাগ নিয়ে অসংখ্য গ্রন্থ আছে, সেসব গ্রন্থে বিশেষজ্ঞদের অজস্র মত আছে, বহুকৌণিক বিচার- বিশ্লেষণ আছে। হৃদয়গত বেদনার অসহায় নিরব আর্তনাদ আছে, পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি আছে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প আছে, অসাম্প্রদায়িক ও অবিভক্ত বাংলার চেতনা ও বাস্তবায়নে আন্দোলন সংগ্রাম এবং তা ব্যর্থ করতে কূটকৌশল অপ-রাজনীতির চিত্র আছে। এর পরও আমি নির্বিধায় স্বীকার করে নিতে চাই, সে-সব গ্রন্থ পাঠে আমি আরও কিছু প্রত্যাশা করেছি।
অনেক ক্ষেত্রেই নির্মোহ ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির কিছুটা অভাব লক্ষ করেছি। যে কারণে প্রকৃত সত্য সম্পূর্ণভাবে উদ্ঘাটিত হয়েছে বলে আমার মনে হয়নি। এ বিষয়টিও উল্লেখ্য, বাংলা ভাগ ছোটবেলা থেকেই অপার এক বেদনার গভীর ও অপ্রতিরোধ্য স্রোতপ্রবাহধারা
আমার ভেতরে অনুভব করি যা আমাকে গভীরভাবে ভাবায়, বেদনার্ত করে জাগিয়ে রাখে। কারণ এটা বিভাজ্য হওয়া অবশ্যম্ভাবী ছিল না। এই বোধ থেকেই নিরপেক্ষ ও নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই ‘ভারত ও বাংলা ভাগ’ গ্রন্থ রচনার প্রয়াস পাই।
প্রিয় পাঠকবর্গ গ্রন্থটিকে সানন্দে গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ ও ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাঙালিদের নিকট গ্রন্থ সমাদৃত ও প্রশংসিত হয়েছে। বিখ্যাত অনেক অধ্যাপক-সাহিত্যিক-ইতিহাসবিদ এই বইয়ের জন্য প্রচুর সাধুবাদ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য পত্র-পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াতে গ্রন্থটির উচ্চ প্রশংসা করেছেন। বিভিন্ন প্রবন্ধে তা অকুণ্ঠচিত্তে প্রকাশ করেছেন। আমি এতে অভিভূত হয়েছি এবং গ্রন্থটিকে আরো সমৃদ্ধ করার আন্তরিক তাগিদ অনুভব করেছি।