বাংলা সাহিত্যের সৌভাগ্য এই— তার মতো কীর্তিমান লেখক বাংলা ভাষায় জম্মেছিলেন। বাংলা ভাষার চৌহদ্দী বিবেচনায় আনলে দেখা মিলবে, তিনি রেখে গেছেন সাহিত্য সৌন্দর্য্যের নানা চিহ্ন, নানা সৃষ্টি, নানা চিন্তা, নানা পথ, নানা উদ্দীপনা আর লড়াই-সংগ্রামের ভাষার অমূল্য কীর্তি। তার ইহকাল ত্যাগের দু’দশক পর কথাটা আমরা কত না সহজে বললাম! বলা এত সহজ ছিল না জীবদ্দশায়। কেন? আমরা যারা মহাত্মা ছফার সামান্য সান্নিধ্য পেয়েছি তারা অল্প-বিস্তর জানি। জীবদ্দশায় কলিকালের সমাজ আহমদ ছফার প্রাপ্য সম্মানটুকু দেয়নি। বাংলা একাডেমি পুরস্কার তো দূরবাত, কোনো পত্রিকার সংখ্যাও আহমদ ছফার নামে হয়নি। অথচ কত খইভাজা লেখককে নিয়ে সমাজে কত কিছু হয়! আদতে ছফার পুনরুজ্জীবন ঘটেছে ইহকালের পর।