যুদ্ধটা নিজের সাথে। আয়নার সামনে বারবার নিজেকে তৈরি করি । যুদ্ধটা খুব সহজ ও স্বাভাবিক প্রতিপক্ষ খুঁজে নেওয়ার দায়ভার বহন করে মানুষ কতদূর যেতে পারে? শুধু মনের গহীনে বাড়তে থাকা ক্ষতকে উপেক্ষা করতে ক্লান্ত চারপাশ। ফেলা আসা ও সামনে অপেক্ষমান পথগুলো সর্পিল । চেনা-অচেনা মনগুলো সরীসৃপের মতো বুক বেয়ে চলে। উন্নত মনের আশায় আর একটু ভালো থাকার বিশ্বাসে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা আমার ও আমাদের সবার। সময় গড়াতে গড়াতে পরিবর্তন অনেক হলো, বিবর্তন ও বিনাশের মাত্রাও কম নয় । চিবুকের ভাঁজ বাড়তে থাকুক । চোখের জ্যোতি যতই কমুক, সময়ের ভারে ন্যূজ্ব মেরুদণ্ড, ফেলে আসা রঙিন দিন ও কালো রাত, হেঁটে আসা চেনা পথের পরিচিত-অপরিচিত মুখগুলো কিংবা সামনে অপেক্ষারত বাহনের উপস্থিতি— সবকিছু এক ও একাকার করে মনের ক্ষতগুলো সারিয়ে তুলবো। আসন্ন আঘাতের বিপরীতে আমিও তৈরি ছিলাম, আছি ও থাকবো। তিরবিদ্ধ মনের আহ্বানগুলো মুছে গেলে অনুমেয় আঘাতের ক্ষত নিয়ে বসি। দিন ফুরিয়ে গেলে রাতের তারাদের সাথে প্রহর গুণি- এসো, অনুমেয় আঘাতের ক্ষতগুলো সারিয়ে তুলি। আয়নার বিপরীতে সমনামে শরীরে নিজের সাথে যুদ্ধ করে পরাজিত হয়ে লুটিয়ে পড়ি কিংবা প্রতিচ্ছায়া পরাজিত করে বিজয় উল্লাসে মেতে উঠি।