মাহফুজের মতো জীবনযোদ্ধারা সমাজের কুটিলতাকে বরাবরই ঘৃণার চোখে দেখে। তাদের স্বচ্ছ দৃষ্টি কখনোই জটিলতা দেখতে পায় না, আর এ কারণেই তাদের উপর নেমে আসে কাল বৈশাখী। জীবনকে তছনছ করে তাকে নিঃস্ব করে দেয়। একাকিত্বের জ¦ালা বুকে নিয়ে নিরবে হারিয়ে যায় দুষ্টক্ষত সমাজ থেকে।বিচারের ভার নিরাকার স্রষ্টার হাতে তুলে দিয়ে বেরিয়ে পড়ে অজানায় অতি ভালো মনের মানুষগুলো। সে সব মাহফুজদের খুব কাছে থেকে দেখেছে লেখক। তাদের চেষ্টা, শ্রম, মেধা সমাজ সংসারের জন্য আর্শিবাদ বয়ে আনতে পারত। লোভী হায়েনার দল ব্যক্তিস্বার্থকে পুজা করে এসেছে। তাদের অর্থ-প্রতিপত্তি প্রতিরক্ষা বর্ম হিসেবে কাজ করে।এমনি অসংগতি লেখকের অনভূতিশীল মনকে প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছে।সমাজের তেমনি একটি অসহায় পরিবারের নিঃস্ব হয়ে যাবার ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি লেখক হিসেবে। সমাজের দন্ডমুন্ডের কর্তাদের অসামাজিক কর্মকান্ড আর অনাচার সবার চোখের সামনে ফুটিয়ে তোলার প্রচেষ্টা চালায় লেখক ‘কাকেদের গান’ উপন্যাসের মাধ্যমে। ঘটনা প্রবাহের মূল বার্তাটি সকলের মনে নাড়া দিতে পারলেই লেখকের প্রচেষ্টা সফল হবে।