কবিতাগুলো মূলত ছোট ছোট স্তবকে সজ্জিত একটি দীর্ঘকবিতা। এদের শরীর ভরা সুবাসিত শব্দের ভ্রƒণ, ভাবনা ও ভাষার বিদ্রæপে এগুলো মূলত আমাদের প্রতিদিনের কথোপকথন, চারপাশে ঘিরে থাকা নিঃসঙ্গতা, বহুগামিতা, অনুচ্চারিত ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আমাদের যুগল জীবনের অন্ধতা। প্রেম-অপ্রেম, মুখ-বিমুখতা, জীবনের বহুবিধ বিস্ময় এবং দৃশ্য-অদৃশ্যের বিপুল কোন্দলে ঘুরপাক খেতে খেতে পাঠক এমন এক জগতে ঢুকে পড়বে যেখানে প্রবেশাধিকার চ‚ড়ান্তভাবে সংরক্ষিত শুধু তাদের জন্য যারা একা, নিঃসঙ্গ, সবকিছু থেকেও যাদের কিচ্ছু নেই, যারা নিদ্রামগ্ন কিন্তু ঘুম নেই, যারা অন্ধ ও বধির; অনুভ‚তিশূন্যতার এক নির্নিমেষ ছায়াপথে যারা হারিয়েছে নিজের হাত, পা, মুখ ও শরীর।
‘আমি হাঁটতে গেলে পথ জড়িয়ে যায় পায়ে’ আসলে আমাদের জটাধরা জীবন ও পথহীন প্রতিদিনের আসা যাওয়ার অস্পষ্ট বয়ান।