“বিষণ্নতাবিরোধী চুম্বনগুলি” ফ্ল্যাপের লেখা:
নির্বিবাদ ছুটে চলা মানুষ পথের তােয়াক্কা করে না। তার পদে পদে দৃশ্যপট। ভেতরে ও বাইরে। চারপাশ জুড়ে দৃশ্যের উঁচু-নিচু আঁকাবাঁকা আলপথ। কবি হেঁটে চলেন সেইসব পথে। মানুষের কাতার থেকে নিজেকে এক পলকে নামিয়ে আনেন পাখিদের ঠোটে। মানবিক জীবনযাপন শেষে তিনি ঘুরে বেড়ান অন্তর্গত দুঃখের ভেতর। সীমাহীন আর্তনাদ তাকে মুক্তির পথ খুলে দেয়। দৌড়াতে দৌড়াতে হয়রান হলে সে খানিক জিরিয়ে নেয় পথের ধারেই। সঙ্গোপনে কথা হয় মাছিদের সাথে। তার ভাষাও নিরন্তর চলতে থাকে গােপনে গােপনে। কবি চারপাশে যা-কিছু দেখেন তার একটা বিক্রিয়া করে নেন যাপিত জীবনের পাটাতনে। অনুভূতির ড্রিল মেশিনে ভেঙে চুরমার হয় সেইসব দৃশ্যপট। মুহূর্তেই কবি হাতে তুলে নেন তার বােধের কাঠপেনসিল। তাঁর কবিতার ক্যানভাসে জীবন মুর্ত হয়ে ওঠে কামে ঘামে প্রেমে এবং প্রকৃতির। খেয়ালিপনায়। কবি অন্ধকার ভালােবাসেন। আঁধারের চেয়ে সুন্দর আর কিছু আছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। তার ভাবনার জগৎ জুড়ে পড়ে থাকে সারি সারি জন্মদাগ-আচ্ছাদিত গােলাপ-বাগান। এইসব গােলাপের ঘ্রাণ ছুটে গেলে কবি হাঁটেন। আমরাও হাঁটি…