জীবনের গল্প বললেই শেষ হয়ে যায় না গল্পের কথা। জীবনকে উপলব্দি করা ও জীবনকে ভালোবাসার মধ্যেই আত্মজিজ্ঞাসার ভ্রূণ জেগে ওঠে এবং একই সঙ্গে উঁকি দেয় গল্পের মুখ। জীবনের সঙ্গে লেখকের মনোজাগতিক মিথস্ক্রিয়ার অবিমিশ্রণ, আলো-আঁধারের মিশেল খেলা, জয়-পরাজয়ের কানামাছি, প্রেম-অপ্রেমের ব্যঞ্জনা, পাপ-অপাপের দ্বান্দ্বিকতা, মূর্ত-বিমূর্তের মায়াজাল, নিরেট মানব প্রেমই ‘কৃষ্ণপক্ষের জোছনা’ গল্পগ্রন্থের গল্পের শিকড়। অনস্বীকার্য, জীবনের রসদ আর গল্পের রসদ এক নয়। হাজারো মানুষের জীবন নিয়ে হাজারো গল্প হয় না। যাপিত জীবনের সঙ্গে মনোভাবনার সংশেস্নষণের মধ্যে অঙ্কুরিত হয় গল্প। এই গল্পগ্রন্থে মোট সতেরোটি গল্প মলাট বন্দি হয়েছে। গল্পগুলো দীর্ঘ সময়ে লেখা এবং সবগুলোই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। গল্পগুলো মানুষ, সমাজ ও মনোজগতের কথা বলে। গল্পের ভিতরেও রয়েছে গল্প, জীবনদর্শন। কোনো কোনো গল্প সাদামাটা জীবনের কথা নয়, বরং পাঠকের চিত্মার বাতায়ন খুলে দেওয়ার প্রয়াস। কোনো কোনো গল্প রূপকাশ্রয়ী। একটি গল্পের ফরমেটও ভিন্ন।
প্রতিটি গল্পে চরিত্রগুলো জীবšত্ম যেন পাঠকের সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে চলে। সাবলীল ভাষায় রচিত গল্পগুলো সুখপাঠ্য।