সপ্তম শ্রেণীর ক্লাস শুরু হতে না হতেই দেশে লাগে যুদ্ধ।শহর ছেড়ে মানুষ গ্রামের পথ ধরে।অনেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়।কিন্তু রাফি ছোট কাুকর সঙ্গে চলে আসে শহরে।গ্রামের ডানপিটে রাফির শহরে যুদ্ধ দিনগুলো কাটত ঘুরেফিরে আর ছবি এঁকে।তার ছবির খোঁজ পায় মুক্তিযোদ্ধারা।সেই ছবি দিয়েই মুক্তিবাহিনীর বিশ্বস্ত ইনফরমার হয়ে উঠে রাফি।পকেটে সব সময় ইট-পাথরের টুকরো,কয়লা এবং মোস্তফা কালি নিয়ে ঘুরত।চলতি পথে আড়ালে-আবডালে পাকিস্তানিদের ছবি এঁকে রাখত।মুক্তিযোদ্ধারা সেই ছবি দেখে আক্রমণে যেত।হুটহাট আক্রমণে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যেত মিলিটারিরা।রাজ্যের অস্ত্র নিয়েও কুলিয়ে উঠতে পারত না মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে ।রাফি যেসব কথা ছবিতে বলতে পারত না তা লিখে রাখত রাফখাতায়।এক সময় রাফির যুদ্ধকৌশল ফাঁস হয়ে যায়।মিলিটারিরা তুলে নিয়ে যায় তাকে।হারিয়ে যায় রাফি।কিন্তু থেকে যায় তার রাফখাতা।যে খাতায় সে লিখে রেখছিল যুদ্ধদিনের না বলা কথা।