“পৌনে একঘন্টা-৪” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
নব্বইয়ের দশকের গােড়ার দিকে বাংলাদেশের পত্রিকা জগতে পরিবর্তনের বেশকিছু বৈপ্লবিক ঘটনা ঘটেছে। এই পরিবর্তনের নেতৃত্বে সামনের কাতারে ছিলাে ভােরের কাগজ এবং পরবর্তীকালে প্রথম আলাে। আর ভােরের কাগজের ‘মেলা’ পৃষ্ঠায় ‘আধঘণ্টা’ কলাম লেখার মাধ্যমে বাংলা সংবাদপত্রে স্পট রিপাের্টিং-এর ক্ষেত্রে একটি নতুন ও অনন্য মাত্রা তৈরি করেন আবু সুফিয়ান! ক্যামেরা দিয়ে ফটোগ্রাফার ছবি তােলেন, চিত্রকর রংতুলি দিয়ে দৃশ্য অংকন করেন, সেগুলাে আমরা দেখি । আর আবু সুফিয়ান তার কলমের ক্যামেরায় পাঠকের কাছে যে চিত্র তুলে ধরেন তা আমরা শুধু দেখি না, সেই চিত্র পাঠকের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। কখনাে হাসায়। কখনাে কাঁদায়। কখনাে ভাবায়। সেগুলাে নিছক স্পট রিপাের্টিংয়ের সীমা ছাড়িয়ে স্পর্শ করে এক উচ্চ সাহিত্যমূল্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ও লেখক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের ভাষায়, বাংলা সাহিত্যে পরিশীলিত হাস্যরসের বড়ই অভাব। হিউমার কিছুটা থাকলেও উইট-এর ক্ষেত্রে আমরা খুব দুর্বল। হিউমার ও হাস্যরস প্রধানত হাসির যােগান দেয়, আর উইট হাসির পাশাপাশি চিন্তাকে উস্কায়। অনেকটা মাথা দিয়ে হাসার মতাে। সুফিয়ানের প্রতিটি লেখায় এর দেখা পাওয়া যায়।’ ভােরের কাগজের নিয়মিত কলাম ‘আধঘণ্টা’গুলাে নিয়ে ইতােমধ্যেই তিনটি খণ্ড আধঘণ্টা ১, ২ এবং ৩ প্রকাশিত হয়েছে। আধঘণ্টা’ কলামটিই পরবর্তীকালে দৈনিক প্রথম আলােতে ‘পৌনে একঘণ্টা’ নামে শনিবারের ম্যাগাজিন ‘ছুটির দিনে ছাপা হতাে। ব্যাপক জনপ্রিয় ও পাঠকনন্দিত সেই লেখাগুলাের সংকলনই হচ্ছে এই বই পৌনে একঘণ্টা।