ফ্ল্যাপে লিখা কথা পৃথিবীর একেকটি মহাদেশের চরিত্র একেক রকম। ইউরোপকে মনে হয়েছে বিচিত্র নগরের মহাদেশ। বিচিত্র মানুষের মিলনস্থল। এশিয়া হচ্ছে বৈচিত্রময় সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু। এই দুই মহাদেশের সাথে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের একটি বড় পার্থক্য রয়েছে। সেই পার্থক্য বড়ই আকর্ষণীয়। মনোমুগ্ধকর। কী সেই আকর্ষণ? পাঠক তারই উত্তর খূঁজে পাবেন সিডনির পথে পথে গ্রন্থের প্রথম খন্ডে। ভূমিকা অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে আমার কিছূ ভূল ধারণা ছিল। তার মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশের লোকজন অনেকেই অস্ট্রেলিয়াকে বলে কাঠখোট্টা দেশ। আমাকে পরামর্শ দিয়েছে টাকা নষ্ট করো না। দেখার কিছু নেই। ইউরোপসহ দুনিয়ার বেশ কিছূ জায়গা ঘুরে দেখার সুযোগ আল্লাহপাক করে দিয়েছেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মত এমন উজাড় করা সুন্দর প্রকৃতি কোথাও দেখিনি। এখন মনে হচ্ছে দেশটির প্রকৃতির রূপ এমনই মোহময়, এর প্রেমে না পড়ে উপায় নেই। প্রেমিকাকে যেমন মানুষ তন্ন তন্ন করে দেখতে চায়, অস্ট্রেলিয়াও সেরকম দেশ। যাকে তন্ন তন্ন করে না দেখলে তৃপ্তি হবে না। অতৃপ্তি নিয়েই সিডনির পথে পথে প্রথম খন্ড প্রকাশিত হলো। আবু সুফিয়ান সূচিপত্র অস্ট্রেলিয়া যাত্রা- পূর্ব প্রস্তুতি ঢাকা টু কুয়ালালামপুর গুড ইভিনিং সিডনি ব্লু মাউন্টেইল -এর তিন বোন সিডনির সী বীচ বনদাই সত্যি-ই সিডনির পথে পথে সিডনি হারবার অস্ট্রেলিয়ার খাবার দাবার ফেদারডেল ওয়াইল্ড পার্ক ওয়েস্ট রাইড-এ যাত্রা এবং হারিয়ে যাওয়া সিডনির লাইব্রেরি এবং অস্টেলীয়দের প্রতি আকর্ষণ বিখ্যাত সিডনি হারবার ব্রিজ-এ লাপোরোজ