অন্যস্বাদের, অন্য অনুভবের কাহিনি ‘সমনামী’। ষাটের দশকের শেষদিকে অশােক গাঙ্গুলিকে বিয়ে করে উত্তর কলকাতার মেয়ে অসীমা পাড়ি দেয় দুর প্রবাস আমেরিকায়। আত্মীয়স্বজন আর পরিচিত পরিবেশ থেকে এই বিচ্ছেদ কিছুতেই মানতে পারেনি অসীমা। বড় ছেলে যখন সেই প্রবাসেই জন্মাল, আইনত সে হল আমেরিকার নাগরিক। অসীমার দিদার পাঠানাে নাম ডাকবিভাগের গােলযােগে হারিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে ছেলের একটা কাজ-চালানাে ডাকনাম রাখল অশােক, গােগােল। রুশ সাহিত্যিকের প্রতি মুগ্ধতাবশত শুধু নয়। এক রেল দুর্ঘটনায় যখন প্রাণ হারাতে বসেছিল অশােক, গােগােলের গল্পসংগ্রহের একটি উড়ন্ত পৃষ্ঠাই তাকে রক্ষা করে। ছেলের নাম তাই ফিরে পাওয়া জীবনের প্রতীক হয়ে দাড়ায় অশােকের কাছে। কিন্তু আত্মিকভাবে। আমেরিকান হয়ে ওঠা গােগােল নিজে কোনওদিন মানতে পারেনি ওই নাম। ভারতীয় শিকড়কেই কি সে মানতে পেরেছিল? শিকড় ও শিকড়হীনতার, প্রবাসকে নিজের করে নেওয়ার, পুরনাে ও নতুন জীবনের মাঝখানে ত্রিশঙ্কু হয়ে থাকার, আত্মিক সংকট উপলব্ধি করার কাহিনি ধরা পড়েছে এই আখ্যানে।। ইংরেজিতে লেখা মূল উপন্যাস ‘দি। নেমসেক’-এর এই বাংলা অনুবাদে, প্রবাসী।