“জ্ঞান ও সভ্যতার গ্রন্থমালা-৫ : ডার্ক ম্যাটার” বইয়ের সম্পর্কে কিছু কথা:
“এইসব পর্যবেক্ষণ সমন্বিত করে যখন পূর্ণাঙ্গ মডেল তৈরি করা শুরু হলাে, তখন দেখা গেল একটা জায়গায় এসে এইসব পর্যবেক্ষণ মিলছে না। সেটা হলাে ভর। সমন্বিত ও যথাযথ মডেল নির্মাণ করতে গেলে এ কথা মানতেই হচ্ছে যে, দৃশ্যমান ভরের তুলনায় অন্তত দশ গুণ বেশি ভর মহাবিশ্বে বিরাজ করছে। এই ভরকে দেখা যায় না, অর্থাৎ বিদ্যুৎ-চুম্বক বর্ণালির কোনাে অংশেই একে ধরা যায় না, কেবলমাত্র এই অতিরিক্ত ভরের মহাকর্ষীয় প্রভাব গণনা করা যায়। এই জন্য একে ডার্ক ম্যাটার বা তমােবস্তু বলে। ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্ব একাধিক পর্যবেক্ষণে প্রমাণিত হয়েছে। এরা কী দিয়ে তৈরি সেটা কেউ জানে না। ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্ব ধরা পড়ায় গ্যালাক্সির পরিচিত গঠন সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারণা সম্পূর্ণ বদলে যায়। ”