“মিশর পুরাণ” বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ
মিশর এক স্বপ্নরাজ্যের নাম। ইতিহাস, রহস্য আর মননামুগ্ধকর শিল্পকর্ম, স্থাপত্য, পিরামিড, মমি-হাজারাে কারণে মানুষের মনে এক বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছে মিশর। স্বাভাবিকভাবেই মিশরের পুরাকাহিনীগুলােও তাই অন্যান্য পুরাণের চেয়ে আলাদা। নিছক গালগল্প বলে উড়িয়ে দেবার সুযােগ কম, কারণ ঐতিহাসিক প্রমাণ মিশে রয়েছে এর পরতে পরতে। কল্পনা আর বাস্তবতার এত নিখুঁত মেলবন্ধন বােধহয় পৃথিবীর আর কোনও পুরাণে নেই! মিশর পুরাণের ওপর বেশ কিছু বই পড়া হয়েছে। তা সত্বেও রুপান্তরের জন্য এই বইটি বেছে নেয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছেঃ গল্পগুলাের বিন্যাস। দেব দেবীদের উপাখ্যানের পাশাপাশি এখানে উঠে এসেছে জাদুর গল্প। স্থান পেয়েছে গা শিউরানাে রােমাঞ্চকর উপাখ্যান। রজার ল্যান্সেলিন গ্রিনের স্বার্থকতা এখানেই। দক্ষ লেখনীর পাশাপাশি তার – ইতিহাস আর গবেষণা ভিত্তিক জ্ঞান এই গল্পগুলােকে দিয়েছে সম্পূর্ণ নতুন মাত্রা। খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ অব্দে গ্রিকা আবিস্কার করেছিল মিশরের ভূমি। ৩০০০ বছরের দাপটশালী মিশর সাম্রাজ্যের সূর্য তখন নিভু নিভু করছে। তাদের ইতিহাস সংরক্ষণে তাই গ্রীক আর রােমানদের বেশ বড়সড় অবদান রয়েছে।