“এ ফায়ার অব ফোর্থ সেঞ্চুরি” বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথা: প্রায় ষােলশ বছর পূর্বে, স্পার্টায় বাস করত মিসরীয় বংশােদ্ভূত অনিন্দ্য সুন্দরী তরুণী অ্যালেক্সান্দ্রা, যে বয়ে বেড়াচ্ছিল দেবতা প্রমিথিউসের অভিশাপ। অ্যালেক্সান্দ্রা যখন মায়ের গর্ভে তখন এক ‘পুরােহিত তার মাকে সতর্ক করে বলেছিল, পূর্ণিমা রাত তার অনাগত সন্তানের জন্য অশুভ। এ রাতে যেন তাকে দুগ্ধস্নান করানাে হয় এবং বাইরে বের হতে না দেয়া হয়। ষােল বছর অন্যথা হয়নি এ নিয়মের। যদিও একটা সময় ভাগ্য অ্যালেক্সান্দ্রাকে নিয়ে যায় এক নির্জন দ্বীপে। যে দ্বীপে সে একা নয়, আটকা পড়েছিল আরও পনের-ষােল জন স্পার্টান। যাদের মধ্যে রয়েছে এক ভাগ্যবিড়ম্বিত যুবক ফিদেল। মেয়েজামাতা রূপে তাকে পছন্দ করেছিল অ্যালেক্সান্দ্রার বাবা।
গ্রিস হতে রােমে ফেরার পথে এক রাজজাহাজ তাদের দেখে উদ্ধারে এগিয়ে আসে, যে জাহাজে ছিল স্বয়ং রােমান যুবরাজ। যার বাগদত্তাকে রােমের হিতার্থে বিসর্জন দিতে চায় প্যাগান পুরােহিতরা বাধা হয়ে দাঁড়ায় যুবরাজ। পুরাে রােম জনতা চলে যায় তার বিপক্ষে। বিপক্ষে চলে যায় সিনেট, এমনকি সর্বদা ছায়াতুল্য পিতাও। বাধ্য হয়ে নিজ সৈন্যদের বিরুদ্ধে তরবারি ওঠাতে হয় তাকে। অথচ যারা কিনা সর্বদা তার নেতৃত্বে যুদ্ধে নেমেছিল। শেষ পর্যন্ত সাম্রাজ্য, সিংহাসন সব ত্যাগ করে বাগদত্তাকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়। চিহ্নিত হয় সাম্রাজ্যদ্রোহী রূপে। চিরকালের জন্য রুদ্ধ হয়ে যায় রােমে ফেরার পথ। কিন্তু যাকে বাঁচাতে রােম ত্যাগ করতে হয়েছিল। আবার তাকে বাঁচাতেই রােমে ফিরে আসতে হয় যুবরাজকে। তারপর….!!!!
যুদ্ধ, মিথ, বীরত্ব, প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং আত্মত্যাগের এক শ্বাসরুদ্ধকর উপাখ্যান- ‘এ ফায়ার অব ফোর্থ সেঞ্চরি’