ফ্ল্যাপে লিখা কথা
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক স্টেফিন মেয়ার তার বহুল পঠিত নিউ মুন উপন্যাসে পাঠকের সামনে অদ্ভুত কিছু চরিত্র নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। বেলা সোয়ান-আকর্ষণীয় সুন্দরী তম্বী তরুণী। সে মানব প্রজাতির প্রতিনিধি।
আছে এ্যাডওয়ার্ড কুলিন- সুদর্শন,স্মার্ট, তরুণ ভ্যাম্পায়ার। জ্যাকব ব্লাক -সোনালী চুলের প্রতিশোধ পরায়ণ ভ্যাম্পায়ার।
অসম চরিত্রের ভালবাসা আবর্তিত হয়েছে গোটা উপন্যাস ঘিরে। অসম চরিত্রের দুই তরুণ-তরুণী, এ্যাডওয়ার্ড ও বেলা একে অপরের ভালবাসার আবর্তে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছে। ফরকস্ নামক ছোট্র শহরে তাদের ভালবাসা নিয়ে ঘটতে শুরু করছে ঘটনার জাল।
বেলার জন্মদিনে ছোট্র একটু রক্তপাত থেকে শুরু হয়েছে ঘটনার সূত্রপাত। রক্তপিয়াসু ভ্যাম্পায়ার পিপাসার্ত হয়ে বেলার উপর বসাতে চেয়েছে মরণ কামড়। এ্যাডওয়ার্ডকে সপরিবারে শহর ছাড়তে হয়েছে। নিঃসঙ্গ বেলার দুঃসময়ের সাথী হয়েছে জ্যাকব ব্লাক। নেকড়েমানব । ভালবেসে ফেলেছে বেলাকে। নেকড়েমানবদের জাতশত্রু ভ্যাম্পায়ার। এ্যাডওয়ার্ড হয়ে পড়ছে জ্যাকবের চরমশত্রু এর মধ্যে পিছু নিয়েছে ভিক্টোরিয়া। তার প্রেমিককে এ্যাডওয়ার্ড হত্যা করেছিল। সেও বেলাকে হত্যা করে সেই প্রতিশোধ তুলবে। তাড়া করেছে বেলাকে…….এটা শুধু ভ্যাম্পায়ার বা নেকড়ে মানবের কাহিনী নয়- ভালবাসা, প্রতিশোধ, লোভ নিয়ে পড়া এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করার মত মন্ত্রমুদ্ধকর কাহিনী….
প্রাক্কথন
আমাদের সকল প্রকার ছলচাতুরীর ব্যর্থতায় পর্যবেসিত হলো। আমার হৃদয় বরফের মত জমে গেছে। আমি লক্ষ্য করলাম, সে আমাকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার অখণ্ড মনোযোগ সন্দেহের কোন অবকাশ না দিয়েই প্রোথিত হয়েছে, যদিও তারা অসংখ্য । আমি জানতাম, আমরা কোনা সাহায্য আশা করতে পারি না। বিশেষত ঠিক এই মুহূর্তে। তার পরিবারের সদসরা প্রাণপণ লড়াই করছে। শুধুমাত্র আমাদের জন্যই। আমি কি এই লড়াই থেকে কোন কিছু শিখতে পারব? বের করতে পারব কারা বিজয়ী আর কারা বিজিত?
আমি তাঁর জন্য দীর্ঘদিন বেঁচে থাকব?
অদ্ভুত ব্যাপারটা অতোটা মহৎ কিছু প্রতিপন্ন করে না।
কালো চোখ, হিংস্রতায় বুনো হয়ে থাকা আমার জন্য যেন মৃত্যুর দূত। সেই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে কখন আমার রক্ষাকারীরা বিভক্ত হয়ে যাবে। সেই মুহূর্তের জন্য যখন আমি নিশ্চিত মৃত্যুমুখে পতিত হবো।
দূরে কোথাও, দূরে, বহুদূরে, শীতলতম বনের থেকেও দূরে, একটা নেকড়ে গর্জন করতে থাকে।