দেবতার নাম তার পছন্দ নয়, তারপরও লোকে তাকে কার্তিক বলে ডাকে। ধর্ম তার কাছে এক ধরণের আফিম, সবাইকে সে এই আফিম থেকে দূরে থাকতে বলে। সারা জীবনে সে যতগুলো মেয়ের সাথে প্রেম করেছে, তারা সবাই ছিলো মুসলমান। জীবনে কখনই নাকি কোনো হিন্দু মেয়েকে পছন্দ হয়নি তার (স্ত্রী ব্যতীত)। এই হলো কার্তিক সাহা। প্রেমের কারনে মানুষ পরিবার থেকে পালিয়ে যায়, পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়, এমনকি তাজমহলও বানায়। কিন্তু কার্তিক সাহা একেবারেই উল্টো। কার্তিকের প্রেমে পড়ে এক মেয়ে আত্মহত্যা করলেও সে থেমে থাকে না। সে একের পর এক মেয়েদের সাথে প্রেম করেই যায়। বরং, তার মৃত প্রেমিকাকে পুঁজি করেই সে মেয়েদের পটায়। উপন্যাসের নায়িকা “মৃদুলা” তেমনি একটি মেয়ে, যে কি না কার্তিকের ফাঁদে পা দেয় এবং তার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে জীবনের চরম মূল্য দেয়। নানা ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় কার্তিক-মৃদুলার প্রেম। একসময় চরম একটি সত্য মৃদুলার সামনে এসে দাঁড়ায়। কার্তিক নাস্তিকও নয়, কার্তিক প্রেমিকও নয়। সে একজন কট্টর মৌলবাদী হিন্দু। সারা জীবন মুসলমান মেয়েদেরকে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলাই তার মৌলবাদের হাতিয়ার।