বাঙালি’ একটি জাতির নাম। জাতিভুক্ত ব্যক্তির পরিচয়ও এই শব্দটির ভেতরে গ্রোথিত। এই সহজ সমীকরণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলাে বাঙালির সত্ত্বা ভাষাভিত্তিক। এখানকার মূলগত সংস্কৃতি এবং সামাজিক-প্রাকৃতিক নানা বিষয়ের ধারাবাহিকতাও ভাষার প্রকাশে প্রাণিত । সেই প্রাণিত অনুভবের বিষয়গুলাে নেতিবাচক দৃষ্টি দিয়ে বিভক্তির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল বাঙালির সত্ত্বা। বাঙালির জাতিগত দীর্ঘপথে বােধ হয় ‘দেশভাগ’ নামক ক্ষত দিয়েই সবচেয়ে বেশি রক্ত চুয়েছে। যদিও পথ পরিক্রমায় আমরা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিক। আমরা আমাদের দেশের প্রতি দারুণভাবে সংবেদী । তথাপি এখনাে সেই ক্ষতের ধারা দিয়ে রক্ষ না চোয়ালেও ব্যথা নিঃসৃত হয়। ওপার-এপারের প্রাচীর গলিয়ে ভালােবাসা আর বেদনার বাতাস কখনাে কখনাে ফিরিয়ে নিয়ে যায় অতীতে। আমরা অনুভবে বেদনার্ত হই আর প্রত্যক্ষদর্শীদের চোখের জলে নেয়ে নেয় রক্ষিত চোয়াল!