এটা কোনো জীবনী বা ইতিহাসগ্রন্থ না। নিছকই একটা উপন্যাস। মূল চরিত্র জীবনানন্দ দাশ। এছাড়া কাহিনীর প্রয়োজনে অন্যান্য ঐতিহাসিক চরিত্র রয়েছে। মূল ইতিহাসকে ঠিক রেখেই তা লেখা হয়েছে। কথোপকথনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জায়গায় কল্পনার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। যেমন জীবনানন্দ দাশের বিয়ের পর লাবন্য আর কুসুমকুমারীর সাথে কথোপকথনগুলো কাল্পনিক। শোভনার সাথে কথোপকথনের বেশ কিছু অংশ কাল্পনিক। কিন্তু এই কাল্পনিক অংশ না দিলে জীবনানন্দ দাশের দাম্পত্য জীবন বা শোভনার সাথে তাঁর সম্পর্কটা বোঝানো কঠিন হতো। অন্যদিকে গোপালচন্দ্র রায়, নীরেন্দধনাথ চক্রবর্তী বা সঞ্জয় ভট্টাচার্যের সাথে কথোপকথনগুলো রেফারেন্স ঘেঁটেই নেয়া। কিন্তু হুবুহু না নিয়ে যতটুকু দরকার ততটুকুই নেয়া হয়েছে। মূল ইতিহাসের সাথে মিল রাখার জন্য যেসব গ্রন্থের সাহায্য নেয়া হয়েছে তা বইয়ের শেষে উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে যেন মূল ইতিহাসের যেন কোনো ব্যাত্যয় না হয়। তারপরেও কোনো ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। রিয়াজ ফাহমী উত্তরা, ঢাকা। জানুয়ারি ২০২১