অন্ধকার বেলকনিতে বসে আছে অমিত। গায়ে কালো চাদর থাকায় তাকে অন্ধকার থেকে আলাদা করা যাচ্ছে না। এমন সময় তার ছয় বছরের ছোট্ট মেয়ে নীতু এলো বেলকনিতে। সে আগের মতো বাবার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লো না। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে রইলো। অমিত বুঝতে পারল নীতু তাকে বিশেষ কিছু বলতে এসেছে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিশ্চয়ই। এজন্য কথাটা বলার আগে কিছুটা সময় নিচ্ছে সে। অমিতের ধারণা সত্যি হলো। কিছুক্ষণ পর নীতু মৃদু কণ্ঠে বলল, ‘বাবা, তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি?’ ‘বলো, মামণি।’ ‘বাবা, তুমি কি সত্যিই গাছ হয়ে যাচ্ছ? তোমার গায়ে কি গাছের মতো পাতা গজিয়েছে?’ অমিত মুখে হাসি আনার চেষ্টা করে বলল, ‘নাহ, মামণি। মানুষ কি কখনো গাছ হয় নাকি?’ ‘তাহলে তুমি সারাক্ষণ চাদর দিয়ে শরীর ঢেকে রাখো কেন? সবাই তোমাকে ভয় কেন পায়?’ নীতু এরকম প্রশ্ন করে বসবে অমিত বুঝতে পারেনি। সে জবাব দিতে পারল না। এই প্রশ্নের উত্তর তার জানা আছে। কিন্তু বলার মতো ভাষা জানা নেই। মেয়ের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে অমিত আকাশের দিকে তাকালো। সেখানে খেলা করছে নিকষ কালো অন্ধকার…