শীতের এক রুক্ষ বিকেলে কয়েকজন তরুণের একটি চলচ্চিত্র বানানোর লক্ষ্যে বসা আড্ডায় উঠে আসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ঢাকা শহরের একটি মেসবাড়ির গল্প। মেসটির বোর্ডার রুদ্রনারায়ণ সামন্তের সাথে ঘটছে নানা রহস্যময় ঘটনা, আর নাজেহাল হতে হচ্ছে একই ঘরের বাসিন্দা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ঈশ্বর সিংহকে। কিন্তু এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে কে বা কারা? শত মাইল দূরে বিহারের ধানবাদের কয়লাখনিগুলো লুকিয়ে রেখেছে কী রহস্য? এসব ঘটনার সাথে জর্মনির ডুইসবুর্গে অধ্যয়নরত বিভ্রান্তমস্তিষ্ক এক বাঙালি রসায়নবিদ অপূর্বকুমার ভট্টাচার্য ও রাজকীয় জাপানি সেনাবাহিনীর প্রবীন জেনারেল মাৎসুসিতা হিরোশির কী সম্পর্ক? রাঁচির ভারতীয় মানসিক রুগ্নালয় এখানে কী ভূমিকা রাখছে? শেষপর্যন্ত ঠিক কোন দিকে প্রবাহিত হয় ঘটনার সময়রেখা? অতীত, বর্তমান, নাকি ভবিষ্যতে?