মানবতার কবি তথা প্রেমের কবি চিরদিন আত্মহারা হয়েছেন ঈশ্বরের ঐশী ভুবনে শয়নে স্বপনে ও নিশি-জাগরণে। ঐশ্বরিক চিন্তার নিগূঢ় ফসলকে অবলম্বন করে হতাশা ও ক্লান্তির অক‚লপাথার অতিক্রম করে কবি এগিয়ে চলেছেন চিরন্তন বাসনার অন্তহীন দিগন্তে। নশ্বর জগতের উদ্বায়ী আশা ও ভরসার খেয়ালে পাল তুলে অযাচিত কষ্ট, দুঃখ ও যন্ত্রণার অপরিণামদর্শী ফলাফল বয়ে কবি ছুটে চলেছেন কখনো মরীচিকাসম পথ ধরে ভ্রান্তির দোলাচলে। কবির কাছে মনে হয়েছে ঈশ্বর প্রেম ভিন্ন সবকিছু যেন ধোঁয়াশার আবরণ। তিনি তাঁর প্রতিটি কবিতায় শুনিয়েছেন মুক্তির বাণী, উদ্ভাসিত করেছেন কীভাবে তৃষিত আত্মা লীন হতে চায় ইলমে লাদ্দুনির অনন্ত সাগরে। যেখানে মানুষের মনে হিংসা নেই বিদ্বেষ নেই, মারামারি নেই, হানাহানি নেই; আছে শুধুই শান্তি, পরম শান্তি সেই শান্তিময় জীবনের প্রতিটি ক্ষণের হৃদয় নিংড়ানো অনুভূতিগুলোকে কবি নির্দ্বিধায় উপস্থাপন করেছেন সকলের সামনে যা দর্শনমুখী সকল ছাত্র, শিক্ষক ও গবেষকমহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে ।