উপন্যাস ছাপাতে বারবার ব্যর্থ লেখক ফাতিন সারোয়ারের সাথে একদিন দেখা করতে আসেন এক শক্তিমান লেখক। তার পরামর্শে নতুন করে লেখায় মন দেয় ফাতিন। কিন্তু একইসাথে উলট পালট হয়ে যায় তার নিজের সংসার জীবন। স্ত্রী নিশাতের সাথে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
পিএইচডি করতে গেলেও তা না সম্পন্ন করেই এক অজানা কারণে দেশে ফিরে আসতে হয় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট মাসুম আহমেদকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টে কাজ শুরু করলেও নিজের জীবনের উপর হতাশা কাজ করতে থাকে।
আজকাল কেমন যেন জীবনটা বড্ড বেখাপ্পা লাগে নিশাতের কাছে। মাঝে মধ্যেই মনে হয় নিজের ভেতরে নেই সে। মানসিক সমস্যা ক্রমেই প্রকট হতে শুরু করলে দ্বারস্থ হয় মাসুমের। এরপরেই মাসুম টের পায় এক অদ্ভুত শক্তিমান স্বত্বার। নিশাত কি মানসিকভাবে অসুস্থ? নাকি তাকে কেউ আটকে রেখেছে এক অদৃশ্য বন্ধনে? প্রকাশক, সুপার শপের ম্যানেজার, হোটেলের শেফ, বাংলা একাডেমির সহকারি পরিচালক এরাই বা উন্মাদ হয়ে গেল কেন? ফাতিনের বাসায় ভিড় করে থাকা লোকগুলোই বা কে?
এক মনস্তাত্বিক জগতের গল্প ‘মনের ভেতর কে?’ আসলেই তো পাঠক, আপনার মনের ভেতরে কে সে?