“গুলেনবারি সিনড্রোম ও অন্যান্য গল্প ” বইটি সর্ম্পকে কিছু তথ্যঃ
হ্যাঁ তিনি গ্রামে গিয়েছিলেন, জেনেছিলেন ওটা আত্মহত্যা নয় ওটা হত্যা। বন্ধুর অসহায় স্ত্রী-পুত্র-কন্যার কথা বারবার মনে পড়ে। একটা বিষন্ন নিয়ে তিনি ঢাকাতে ফিরে আসেন। তারপরের ঘটনাটা অনেকটা চলচ্চিত্রের মতো। রাতে ঘুম আসে না তার। সামান্য জ্বর হয়। কোনো এক রাতে শরীর ঘামতে থাকে। হাত পায়ের আঙুলগুলো ক্রমশ অবশ হয়ে যায়। ডাক্তারের রিপোর্টে জানা গেল আব্দুর রহমান গুলেনবারি সিনড্রোম নামে এক কঠিন ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে যখন তাকে কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র দেওয়া হলো তখন তাকে চোখের সামনে একটা কালো পর্দা নেমে আসতে থাকে। সেই পর্দায় তিনি দেখতে পান- বন্দু ঝুলন্ত লাশ, মৃত বন্ধুর ধর্ষিতা মেয়েটার চোখে মুখে মোহনার সমস্ত বেদনা, একটা নদী শুকিয়ে যাচ্ছে, রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ, পুটি, টেংরা, ফলুই আর লাফ দিয়ে ওঠেনা, নদীর কালো পানিতে কাঁপন ধরে না। আলো-অন্ধকারের ভেতর একজন স্ত্রী ডুকরে কেঁদে ওঠে, কিছু বলতে চায়। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের সবার শঙ্কিত চাহনি তখন কম্পিউটার মনিটরের দিকে। এসব নিয়েই ওলেনবারি সিনড্রোম ও অন্যান্য গল্প।