ফ্ল্যাপে লেখা কথা
১৯৪৭-এর ভারতভাগের মধ্য দিয়ে যে ‘স্বাধীনতা’ এসেছিল সেই মেকি স্বাধীনতার স্বরূপ স্পষ্ট হয়ে উঠল বাংলা ভাসার উপর আক্রমণের মধ্য দিয়ে। ক্রমে বোঝা গেল বাঙালির ভাষা-সংস্কৃতিকে বিপর্যস্ত করে তাদের গোষ্ঠীপরিচয় ভুলিয়ে , শুধু মুসলমান পরিচয়ে তাদের পাকিস্তানি করে তুলবার নীল নকশা তৈরি করে অগ্রসর হচ্ছে তখনকার শাসকগোষ্ঠী।
এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি সংষ্কৃতির অক্ষুণ্ন রাখার প্রস্তৃতি শুরু হল। শত বাধার মুখে রবীন্দ্র-শতবর্ষ উদ্যাপন, ছায়ানট প্রতিষ্ঠা, বটমূলের বর্ষবরণ ইত্যাদির মধ্য দিয়ে বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনকে ঋদ্ধ করে বাঙালিত্বের দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তুলবার সাধানায় ব্রতী হলেন কিছু সংস্কৃতিকর্মী। সন্জীদা খাতুন এঁদেরই অন্যতম।
ভাষা-আন্দোলন,নববর্ষ, ছায়ানট আর মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গ নিয়ে তাঁর লেখার সংকলন ‘স্বাধীনতার অভিযাত্রা’য় রয়েছে এই সাধানারই ইতিহাস।