“সীমান্তের দক্ষিণে, সূর্যের পশ্চিমে” বইটি সম্পর্কে কিছু কথা:
যুদ্ধ-পরবর্তী জাপানের এক মধ্যবিত্ত শহরতলীতে বেড়ে ওঠা হাজিমের মনে হয় যে এই জগতে সে ছাড়া আর সকলেরই ভাই-বােন আছে। তার একমাত্র সঙ্গী হল তার সহপাঠী, শিমামােতাে। সেও তার বাবা-মার একমাত্র সন্তান এবং পােলিওর কারণে একটা পা একটু টেনে হাঁটে। আলাপের পর অচিরেই উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরী হয় এবং নিজেদের শখ বা উৎসাহ নিয়ে কথা বলে তার শিমামােতাের বাড়ির স্টিরিওতে গান শুনে তারা সময় কাটাতে থাকে। কালক্রমে, হাজিমের বাবার বদলির কারণে তারা পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আবার যখন তাদের সাক্ষাৎ হয় তখন তাদের বয়স ৩৬। হাজিমে তখন বিবাহিত, দুই সন্তানের পিতা ও সফল ব্যবসায়ী। শিমামােতাে একা অথচ অনতিঅতীতে তার সন্তান জন্মের পরপরই মারা গেছে, কোনাে কাজ না করলেও তার জীবনযাপন অতীব স্বচ্ছল। শিমামােতাের জীবন আলাে-আঁধারিতে মােড়া থাকলেও তার সঙ্গে পুনরায় সাক্ষাতের ফলে হাজিমের মনে সেই জাদু-অতীতকে পুনর্জাগ্রত করার এক তীব্র স্পৃহা জেগে ওঠে। কিন্তু পরবর্তী ঘটনশৃঙ্খল হাজিমেকে এমন এক সন্ধিক্ষণে এনে উপস্থিত করে যেখানে দাঁড়িয়ে তাকে বেছে নিতে হবে দুটি বিকল্পের মধ্যে যেকোনাে একটিকে স্ত্রী ও সন্তান বা শিমামােতাে, সুখী বর্তমান অথবা জাদু অতীত। শিমামােতাের ধুপছাঁওয়ে ঢাকা জীবন কি উন্মােচিত হবে হাজিমের কাছে? হাজিমে কি জাদু অতীতকে পুনর্জাগ্রত করতে পারবে? নাকি আটকা পড়ে যাবে বর্তমান সুখের ঘেরাটোপে?