“পল্লী উন্নয়ন” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
আমাদের আজকের বাংলাদেশের যে পরিচয় তা আবহমানকালের অজস্র গুচ্ছগ্রামের নিটোল সমন্বয়েই এক চিরায়ত বাংলাদেশ। আর এই চিরায়ত নিয়মেই বাংলাদেশের পল্লীগুচ্ছে মানুষের জীবন ও জীবিকা পাল্টেছে বারবার। কখনাে থেমে-থেমে, কখনােবা আন্তঃ/বহিঃ আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে প্রবল স্রোতােধারায়। বইটিতে তারই অভিজ্ঞতা ও স্বচ্ছ অন্তদৃষ্টির সমন্বয়ে আলােকিত করার প্রয়াস দেখিয়েছেন বিশিষ্ট লেখক হাসনাত আবদুল হাই। দেখিয়েছেন কি করে পাল্টে গেছে বাঙালীর জীবনপ্রণালী ও তার লৌকিক আলেখ্য। এই পাল্টে যাওয়া জীবনের অনুসন্ধান এবং গ্রাম-বাংলার রূপান্তরের অগ্রগতির তথ্য-তত্ত্ব ও সংগঠনগত রূপরেখা নিয়েই পল্লী উন্নয়ন।
প্রকৃতপ্রস্তাবে বইটিতে অনুসন্ধান করা হয়েছে সভ্যতার ধারানুক্রমে পল্লীর সূচনা, বিকাশ ও অগ্রগতির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এতে রয়েছে তথ্য ও তত্ত্বের সাহায্যে ব্যাখা দেয়ার একটা নির্মোহ অথচ ক্রিয়াশীল চেষ্টা। দেখানাে হয়েছে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পল্লীর ভূমিকা, অবস্থান ও রূপান্তরের কালক্ৰম। উদাহরণ হিসেবে এসেছে দেশ ও কাল। স্বল্প সময়েই বইটির দ্বিতীয় সংস্করণও নিঃশ্বেষিত হয়ে যাওয়ায় মনে হয় বইটির চাহিদা ও গুরুত্ব এখনাে পাঠকের কাছে যথেষ্ট রয়েছে।