ফাঁসির মঞ্চে তেরোজন

৳ 300.00

লেখক আনোয়ার কবির
প্রকাশক মাওলা ব্রাদার্স
আইএসবিএন
(ISBN)
9847015602321
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১৭৬
সংস্কার 3rd printed, 2019
দেশ বাংলাদেশ

ফ্ল্যাপে লিখা কথা
২৩ সেপ্টেম্বর ‘৮১। প্রহসনমূলক এক বিচারের কারণে ফাঁসির রজ্জুতে এক এক বিভিন্ন কারাগারে পৃথিবীর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ ঘটে ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার। পরবর্তীতে ৩০ সেপ্টেম্বর ‘৮৩ সালে একই অভিযোগে ফাঁসির রজ্জুতে প্রাণ দেন আরেকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসার। ৩০ মে ‘৮১ সালে চট্রগ্রাম সার্কিট হাউজে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমান নিহত হন। ব্যর্থ অভুত্থানের পর অভ্যুত্থানের নেতা হিসেবে চিহিৃত করে জেনারেল মঞ্জুরকেও হত্যা করা হয়। তরিঘড়ি জনতার দাবিকে পাশ কাটিয়ে হত্য রহস্য ধামাচাপা দিয়ে প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলানো হয় এই (১২ ১) ১৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- চট্রগ্রামে রাষ্ট্রপতি হত্যায় সেনাবিদ্রোহে এরা জড়িত ছিলেন। কিন্তু আজও প্রমাণিত হয়নি এদের জড়িত থাকার ব্যাপারটি। ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এদেরকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আর একারণে আজো উদ্‌ঘাটিত হয়নি কারা,কেন, কিভাবে রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াকে হত্যা করেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃত সরাসরি যদি কখনো উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করা হয় জিয়া হত্যার রহস্যের তাহলেই হয়তো জানা যাবে কারা , কেন রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াকে হত্যা করেছিল। ফাঁসির পূর্বে চিঠিতে বিগ্রেডিয়ার মহসীনের লেখা উক্তি ‘একদিন এই দেশের মাটি কথা বলবে। ইতিহাস পুনাবৃত্তি হয়’ পৃথিবীর ইতিহাসে শুধু বাংলাদেশেই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এই পুরস্কার এর সার্থকতা। ‘ফাঁসির মঞ্চে তেরজন’ গ্রন্থটিতে আনোয়ার কবীর ২০ মে ‘৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়া নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রহসনমূলক সামরিক আদালতের বিচারে ফাঁসির মঞ্চে প্রাণ দেওয়া তেরজন বীরমুক্তিযোদ্ধা অফিসারের জীবন ইতিহাসকে তুলে ধরা্র চেষ্টা করেছেন এবং এই মৌলিক সত্যই প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, মানুষের মৃত্যুই তাঁর শেষ নয়।

‘ফাঁসির মঞ্চে তেরজন গ্রন্থ প্রকাশের মধ্য দিয়ে আমাদের অতীত খননের কাজ শুরু হলো। আর এক্ষেত্রে আনোয়ার কবিরকে পথিকৃৎ বলা চলে।’ প্রখ্যাত কথাশিল্পী শওকত ওসমান দুই যুগ আগে ’৯৫ সালে লেখকের দ্বিতীয় গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেছিলেন। নিরন্তর ধারাবাহিক পথচলার লেখক তিনি। ধীমান ও তীক্ষ্ন মেধাসম্পন্ন মুক্তিযুদ্ধ এবং সামরিক বাহিনীতে গণহত্যা বিষয়ক গবেষক লেখক হিসেবে আনোয়ার কবির দেশের বুদ্ধিজীবী সাংবাদিকসহ সকল মহলের কাছে আলোচিত ও আলোড়িত নাম। দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনে রাষ্ট্রপতির রেফারেন্স শুনানী থেকে হাইকোর্টে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন মামলা, বিডিআর বিদ্রোহ মামলা, কর্নেল তাহেরের রিভিউ মামলা ও যুদ্ধাপরাধী দল জামাতের নিবন্ধন বাতিলের ঐতিহাসিক মামলার রায়ে তার ৪ (চারটি) বই অঙ্গাঙ্গিভাবে রেফারেন্স গ্রন্থ। দেশের এই বিষয়সমূহে তাকে অন্যতম অগ্রগণ্য গবেষক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জনমত তৈরির অন্যতম আলোচিত সংগঠন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-এর প্রতিষ্ঠাতাদেরও অন্যতম তিনি। সংগঠনটির তিনি প্রতিষ্ঠাতা মিডিয়া সমন্বয়ক। তাঁর লেখালেখি গ্রন্থ ও কাজ নিয়ে প্রখ্যাত সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলৎস, শওকত ওসমান, গোলাম মুরশিদ, আহমদ ছফা, শামসুর রাহমান, সরদার ফজলুল করিম, যতীন সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিক, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম, এডভোকেট সিরাজুল হক, ব্যারিস্টার এম. জহির, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুদ্দিন আহমেদ, মেজর জেনারেল আজিজুর রহমান বীর উত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইন উদ্দিন বীর প্রতীক, সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল হারুন-অর-রশিদ বীর প্রতীক, মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, ড.

রফিক উল্লাহ খান, সৈয়দ আবুল মকসুদসহ দেশবরেণ্য সামরিক বেসামরিক বুদ্ধিজীবী গবেষকগণ একাধিকবার লেখালেখিসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি গণমাধ্যমে আলোচনা করেছেন। লেখকের গ্রন্থ : নির্বাচিত প্রতিবেদন জিয়া হত্যা সমরাস্ত্র ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (স্বচ্ছ প্রকাশনালয়), ফাঁসির মঞ্চে তেরজন (মাওলা ব্রাদার্স), ফাঁসির মঞ্চে কর্নেল তাহের : একটি অজানা কাহিনী (হাওলাদার প্রকাশনী), স্ববিরোধিতায় আক্রান্ত দেশ (নওরোজ কিতাবিস্তান), ২০ মে ’৯৬ সেনাবাহিনীতে সংঘটিত ঘটনার নেপথ্যে (মাওলা ব্রাদার্স), টেন এক্সক্লুসিভ (চারুলিপি প্রকাশনী), সশস্ত্র বাহিনীতে গণহত্যা (সাহিত্য প্রকাশ), সুফি দর্শন (সাতকাহন প্রকাশনী), বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার (নালন্দা প্রকাশনী), বৃষ্টিময় সারাদিন (কাব্যগ্রন্থ, সাতকাহন প্রকাশনী), মনমাঝি ও তার বৈঠা (কাব্যগ্রন্থ, কবি প্রকাশনী), মওদুদী-জামাত ফেৎনার স্বরূপ (সম্পাদনা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন), মুক্তিযুদ্ধের ঈদ (সম্পাদনা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ