ফ্ল্যাপে লিখা কথা
আমরা দান্তের ডিভাইন কমেডি পড়ে জানতে পারি, তিনি মহাকবি ভার্জিলকে সাথে নিয়ে ত্রিভূবন পরিভ্রমণ করছেন। আব্দুর রাজ্জাক শিপন এর এই কাহিনিতে ঢুকতে গিয়েই পাই তেমনই একজন কবিকে। লেখক উত্তমপুরুষে কাহিনি শুরু করেছেন। ‘আমি’ বলে যাচ্ছে দৈনন্দিন যাপন, স্মৃতি ও স্বপ্নের কথা। পশে হাঁটছেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। কথা বলছেন। প্রথমদিকে মনে হয় না এটি একটি প্রেমের কাহিনি। লেখক- কবি সমবায়ে মাইল মাইল পায়ে হেঁটে চট্টগ্রাম শহর পরিভ্রমণের মাধ্যমে খুঁজে বেড়ান সত্যকে, দেখান নাগরিক এবং রাজনৈতিক নর্দমা, ক্লেদ এবং অন্ধকারকে: ফাঁকে ফাঁকে ফুটতে থাকে স্মৃতির ফুল। শেষে উন্মোচিত হয় কৌটার ভিতর সযতনে লুকোনো নাকফুল।
আব্দুর রাজ্জাক শিপন এর বলার ধরন অনেকটা মন্দিরের আঙ্গিনায় বসা কথকঠাকুরের মতো, মানে গল্পবলার ধরন। এই ধরন আমরা অন্যসাহিত্যে মার্কেজ এর মধ্যে দেখি। বাংলাদেশে দেখি শহীদুল জহির এর মধ্যে ।
নির্ঝর নৈঃশব্দ্য