ফ্ল্যাপে লিখা কথা
ঢাকা থেকে বান্দরবান। এরপর চান্দের গাড়ি নামের খোলা জিপে কৈখংঝিরি। পরদিন নৌকায় শঙ্খনদী পার হয়ে রুমাবাজার। সেখানে থেকে পনের কিলো পায়ে হাঁটা পথে নিঝুম পাহাড়ি এলাকা বগালেক। যেতে যেতেই তিনদিন।
উহ্! এক্ষুনি ফোন করা দরকার বর্ণকে। নাইন ওয়ান ওয়ান নাইন এইট সেভেন এইট। নাহ্, এনগেজড্ টোন পাওয়া যাচ্ছে। বর্ণই ফোন বিজি রেখেছে মনে হয়। মেয়েমানুষের এই এক স্বভাব।
কী করা যায়! কী করা যায়! চিন্তা করতে লাগলো হাসিব। এত কিন্তু মনে মনে ভাববার আগেই আম্মু ডাক দিলেন। হাসিব, মোবাইলটা নিয়ে যাও তো। তোমার কল এসেছে।
এই তাড়াহুড়ার মাঝে কে আবার ফোন দিলো? সাকিলটা না তো! ওর কাজই হলো আইডিয়া চাওয়া। হাসিব ভাইয়া, বগালেক নিয়ে এবার তোমার প্ল্যানটা কী? লেকের পানিতে ডুবিয়ে রাখা কোনো গুপ্তধন? নাকি পাহাড়ের ভেতরে লুকানো মুর্তি? বিরক্তির ভঙ্গিতে মোবাইটা কানে নিলো হাসিব। হ্যালো, হাসিব স্পিকিং। কে বলছেন?
ব্যাপরে বগালেকের নাম শুনেই ইংরেজিতে উত্তর দেয়া শুরু করেছো নাকি! একটা দ্বীপ অ্যাডভেঞ্চার করেই এই অবস্থা? আমি বর্ণ বলছি। দি গার্ল ফ্রম টুডে, মিস বর্ণ রহমান। বিভূতিভূষণের ‘চাঁদের পাহাড়’ গল্পটার কথা মনে আছে, শংকর আর আলভারেস কিভাবে….