অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ, কর্নেল তাহের ও জাসদ রাজনীতি
এই বই মূলত তিনটি খণ্ডে বিভক্ত। শুরুতে উপস্থাপিত হয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর ‘গৌরবোজ্জ্বল’ প্রথম অর্ধযুগের ইতিহাস সম্পর্কে একটি গবেষণা প্রতিবেদন এবং বীর উত্তম কর্নেল আবু তাহের হলেন এ প্রতিবেদনের কেন্দ্রীয় চরিত্র। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সামরিক আদালতে প্রদত্ত কর্নেল তাহের ও হাসানুল হক ইনু’র জবানবন্দি এবং প্রাসঙ্গিক অনেকগুলো দলিলপত্র।
অর্থনৈতিক বৈষম্যের অবসান, রাজনৈতিক নিপীড়ন থেকে মুক্তি ও একটি গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের আকাক্সক্ষাই সম্ভবত বাঙালি জাতি ও এতদঞ্চলের অন্য সংখ্যালঘু জাতিসমূহকে ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে অস্ত্রধারণ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। দাবি করা হয় যে, যুদ্ধোত্তর সমাজে ঐ অনুপ্রেরণাকে কাজে অনুবাদ করার তাড়না থেকেই জাসদের জন্ম।
এককভাবে এ রচনাগুলোতে কর্নেল তাহের নিজেই লেখককে সবচেয়ে বেশি আগ্রাহান্বিত করেছিলেন। শহীদ কর্নেল আবু তাহেরের পরাজয় ও ব্যর্থতা বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশ্বাসঘাতকতার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে না, বরং সামাজিক রূপান্তরের অনিবার্যতার প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করে মাত্র। এ দু মলাটের মধ্যে কর্নেল তাহের সম্বন্ধে দীর্ঘ ছয় বছরের গবেষণার ফসল মুদ্রিত অবস্থায় রইল, যা কর্নেল তাহের সম্বন্ধে একটি অভিধান হিসেবে ব্যবহারযোগ্য বলে আমরা মনে করি।
সূচিপত্র : সিরাজুল আলম খান, কর্নেল তাহের ও জাসদ রাজনীতি; কর্নেল তাহেরের লেখা প্রবন্ধ, তাঁর সাক্ষাৎকার, চিঠি ও পদত্যাগপত্র; অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ ও কর্নেল তাহের।
আলতাফ পারভেজ জন্ম ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ থেকে এমফিল করেছেন। ছাত্রাবস্থায় জান্তা বিরোধী আন্দোলনের সংগঠক হিসেবে ডাকসু’র সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনীতির পর পেশাগত জীবনের সূচনা সাংবাদিকতা দিয়ে। এখন ফ্রি-ল্যান্স। সামাজিক-রাজনৈতিক প্রসঙ্গে অনুসন্ধানী গবেষণাই তার এখনকার কাজের বিষয়।