ফ্ল্যাপে লিখা কথা
খাম খুলে নীলু দেখে চিঠিপত্র কিছু না। একটা ছবি। ছবিটা শিমু নিজহাতে এঁকেছে। এঁকে স্টুডিও থেকে ফটোকপি করিয়ে এনেছে। তারপর খামে পুরে নীলুকে পাঠিয়েছে।
ছবিটা ছিল বেশ রোমান্টিক। বয়ঃসন্ধিক্ষণের চেলেদের বুকে ধুকপুকানি তুলে দেয়ার মতো। ছবিতে নীলু বয়সী এক গ্রাম্য বালক খালিগায়ে গাছতলায় বসে বাঁশি বাজাচ্ছে। চোখ তার নিমীলিত। পরনে লুঙ্গি। কোমরে গিঁট দিয় বাঁধা গামছা। চারদিকে ছড়ানো ছিটানো ঘাস ফুল ইত্যাদি। বালক পিঠ রেখেছে গাছের গোড়ায়।তার মাথার ওপর ছিল ছাতার মতো ডালপালা ছড়ানো বিশাল বৃক্ষ। বৃক্ষের ডালে ছিল একজোড়া পাখি। হলেও পাখিদুটো প্রেমিক প্রেমিকা হতে পারে। বৃক্ষটি হতে পারে বটবৃক্ষ। এই শেষ নয়। ছবিতে আরেকটি বেশ বুক কাঁপিয়ে দেয়ার মতো ব্যাপার ছিল। বালক যেখানে বসে বাঁশি বাজাচ্ছে ঠিক তার পেছনে, গাছের আড়ালে থেকে মুখ বের করে উঁকি দিচ্ছে এক গ্রাম্য বালিকা।পরনে তার ডুরেশাড়ি। মুখটা খুবই মিষ্টি ধাঁচের । নাকে বিশাল এক নথ।
কী সুন্দর ছবি! কী সুন্দর ছবি!