গল্পে বিধৃত ঘটনা তুচ্ছ বা প্রগাঢ় যা-ই হােক না কেন লেখকের দেখার ও দেখানাের দুর্লভ মুনশিয়ানাই একটি ছােট গল্পের পূর্ণতা প্রাপ্তির অতল উৎস। এই বিচারে নিশ্চিতই বলা যায়, দিলওয়ার হাসান সেই সাহিত্য শিল্পী যিনি তৃতীয় নয়, চতুর্থ নেত্রের অধিকারী। আমাদের সমাজ ও চলমান জীবনের চারদিকে প্রসারিত তার প্রখর দৃষ্টির সেই দৃষ্টির তীরে বিদ্ধ হয় লােক চক্ষুর অন্তরালবর্তী তছতম ঘটনা থেকে নজর কাড়া ঘটনা এবৃং না-ঘটনাও। গ্রন্থে সংকলিত প্রতিটি গল্পের চরিত্র আমাদের অতি পরিচিত। মনে হয় একে বা ওকে কোথায় দেখেছি। চরিত্রটির বাহ্যিক রূপ প্রকৃতিকে জানার সুযােগ হলেও তার গােপন মনস্তত্ত্বটিকে তাে জানা হয়নি? হাসান তার গল্পের চরিত্রের রহিরাঙ্গকেই শুধু আকেন না, তাদের ভেতরটাও উন্মােচন করে দেখান। এ কারণে তার চরিত্রগুলাে জীবন্ত, রক্তমাংস সমেত। পাঠককে এই গ্রন্থের প্রথম থেকে শেষ গল্পটি পাঠে আকৃষ্ট রাখবে কেবল মুগ্ধতার আবেশে নয়- গল্পে বিধৃত ঘটনা ও অঙ্কিত চরিত্রগুলাের সুবাদে আমাদের চলমান সমাজের চালচিত্রটি ছকে নেওয়ার সচেতন আগ্রহেও।